মানুষ হতে চেয়েছিলাম
ঈশ্বর পাখি বানালো...
অগণন আলেয়ার পথে ক্লান্ত ডানা।
কোথাও কোনো নীড় নেই,
আকাশের ওপার আকাশ ওড়ে;
সকাল-সন্ধ্যার ব্যবধানহীন শূন্য হৃদয়খানা,
চাঁদের ওপারে সূর্য ডোবে, তুমি আমি পৃথিবীহীন
অলীক দুয়ার খুলি। গেয়ে গেয়ে গান মৃত ছিলাম ভুলি।
উত্থানের এই নতুন ডানায় জ্যোতি জরিণ আলো
যে দেখেছে যত্ন করে সে-ই বেসেছে ভালো।
কুহেলি কূজনে চিকচিকে আমেজ,
মায়ার দরজায় তালা।
অমাবস্যা পূর্ণিমা একাকার এখানে
ধুয়ে দিলো জল
অন্ধ চোখের জ্বালা।
যে সুখ দেখেছো তোমরা
তা নিছক মোহরে প্রাণশূন্য জড়দানা;
ফেলছি প্রতিদিন দুনিয়াজুড়ে
মণি মুক্তা হীরক কণা।
সুখের ব্যাখ্যায় তোমরা পটু
প্রত্যেকেই জ্ঞানী, অধম বুঝি না কিছু
জীবন না পাই মরণ পেয়েছি ষোলোআনা।
যা খুঁজি তা বাতাসে; যা পাই তা আসে অনায়াসে
জীবন মরণ এক মহাশূন্যে ডোমিনোর ছককাটা।
এ পালক আমার ভরা বসন্তে হোলি লাল খেলা
জল রাশি রাশি চোখ গিলে বুকে শিল্প জরিণ ধাঁধা
আলোয় আলোয় পুড়ছি উড়ে পতঙ্গ পাখিগান
খুলি গড়ি ডুবি জাগি মরে ফের বাঁচি আধাখানা প্রাণ।