জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ঘরের মাটিতে টেস্ট দলে অনেকদিন পরই ডাক পেয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। এরপর এক ইনিংসে করেছিলেন ৩৯ রানও। পরবর্তীতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও একাদশে ছিলেন তিনি। তবে ব্যাট হাতে দুই ইনিংসেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বিজয়।
প্রথম ইনিংসে কোনো রান না করার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৪। প্রশ্ন রয়েছে কলোম্বো টেস্টে একাদশে থাকবেন তো বিজয়। তবে বিসিবির সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন আরো সুযোগ দেয়ার পক্ষে বিজয়কে।
আজ মিরপুর গণমাধ্যমকে সাবেক এই অধিনায়ক বলছিলেন, ‘এনামুল হক বিজয় দলে এসেছেন পারফর্ম করেই। জনপ্রিয়তা দিয়ে কেউ দলে ঢুকে না, আমি মনে করি না। ও প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও কিন্তু ভালো রান করে। সাদা বলের রেকর্ড দেখে নেয়া হয়েছে৷ কিন্তু ওর লাল বলের রেকর্ডও কিন্তু অনেক ভালো।’
পরে তিনি আরও যোগ করেন, ‘খুলনা বিভাগের পক্ষে একদম তালিকার শুরুতেই থাকে। এজন্যই তাকে রাখা হয়েছে। তবে ঘরোয়ার যেই ফর্মটা, সেটা আন্তর্জাতিকে দেখাতে পারেনি। আমার মনে হয় সে আরেকটা সুযোগ ডিজার্ভ করে। যেহেতু আমরা দুজন ওপেনারই নিয়ে গেছি। শুরুতে তো শোনা গিয়েছিল শান্তকে দিয়ে ওপেনিং করার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু আমি কঠোরভাবে বিরোধিতা করেছি। ওপেনিং একটা বিশেষায়িত জায়গা, যারা ওপেনার তাদেরই ওপেনিং করা উচিত। ওপেনার আমরা দুজন নিয়েছি, তাদেরকেই একটা সু্যোগ দেয়া উচিত।’
এদিকে নাহিদ রানাও ভালো করতে পারেননি প্রথম টেস্টে। তাকে নিয়ে বাশার বলেন, ‘হি উইল লার্ন। গল টেস্টে উইকেট এমন ছিল, যাদের বেশি পেস তাদের বিপক্ষে ব্যাট করা সহজ ছিল। যারা বেশি পেসে বল করে তারা শর্ট অব লেন্থে বল করে৷ এ ধরনের উইকেটে এসব বল খেলা সহজ হয়ে যায়৷ অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটা স্বাভাবিক। শ্রীলঙ্কাও তেমন কুইক বোলার খেলায়নি।’
গলের পিচের ব্যাখ্যা দিয়ে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘এখানে আসলে যারা জোরে বল করে তাদের কিছু করার থাকে না, উলটো তাদের বলে ব্যাট করা সহজ হয়। এরকম উইকেটে কোন লেন্থে বল করতে হয় সেটা সে শিখবে। সে আমাদের জন্য সম্পদ। ভবিষ্যতে ভালো করবে। সে কেবল শুরু করেছে। আমার মনে হয় তাকে ছাড় দেয়া উচিত।’
আমার বার্তা/এমই