জাপানের ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টেলেকে ২-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এলিট শিরোপা জয় করেছে সৌদি আরবের ক্লাব আল আহলি।
শনিবার রাতে কানায় কানায় পূর্ণ কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে প্রথম ছয় মিনিটেই দু’বার সুযোগ তৈরি করেও গোল থেকে বঞ্চিত হয় আল আহলি। কাওয়াসাকির গোলরক্ষক লুইস ইয়ামাগুচি প্রথমে ইভান টোনির জোরালো ডান পায়ের শট ফিরিয়ে দেন এবং পরের কর্নারে জিয়াদ আল-জোহানির শট ঠেকান।
১১ মিনিটে কাওয়াসাকির ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় মার্সিনহো দারুণ একক নৈপুণ্যে প্রায় চুপ করিয়ে দিচ্ছিলেন স্বাগতিক দর্শকদের। কিন্তু তার শটটি বাইরে চলে যায়।
প্রথমার্ধের ১০ মিনিট বাকি থাকতে কাওয়াসাকি নিজেদের অর্ধে বল হারালে গোলের সূচনা হয়। আল আহলির ফিরমিনো বল দেন আরেক ব্রাজিলিয়ান গালেনোকে। ২৫ মিটার দূর থেকে শট নিয়ে বল জালে ফেলেন গালেনো।
এর কিছুক্ষণ পরই দ্বিতীয় গোল পায় আল আহলি। ফিরমিনো আবারও মুখ্য ভূমিকা রাখেন। ডান পাশে আগাতে আগাতে বক্সে একটি পাস বাড়ান, যেটি আইভরিয়ান তারকা ফ্রাংক কেসিয়ে মাথা ছুঁইয়ে জালে পাঠান।
২-০ গোলে পিছিয়েও ম্যাচে ফেরার জন্য প্রাণপণ লড়াই করে কাওয়াসাকি। বদলি খেলোয়াড় সাই ভ্যান ওয়ার্মেস্কারকেন একটি হেড বাইরে মারেন এবং সেমিফাইনালে আল নাসরের বিপক্ষে জয়ের নায়ক বদলি তারকা তাতসুয়া ইতো ১৫ মিনিট বাকি থাকতে একটি শট অল্পের জন্য বাইরে মারেন।
ইতো আরেকটি শট মেন্ডির পোস্টের সামনে দিয়ে মারেন। তবে শেষ পর্যন্ত আর গোলের দেখা পায়নি কাওয়াসাকি। ফলে তৃতীয়বারের মতো ফাইনাল উঠে অবশেষে শিরোপা জয়ের গৌরব অর্জন করে আল আহলি। এর আগে ১৯৮৬ ও ২০১২ সালের রানার্সআপ হয়েছিল দলটি।
আল আহলির গোলরক্ষক এডুয়ার্ড মেন্ডি বলেন, ‘আমরা খুবই গর্বিত। যখন আমরা জানলাম শেষ আটের খেলা জেদ্দায় হবে, তখনই আমাদের লক্ষ্য ছিল আমাদের ভক্তদের সামনে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আমি ১৮ মাস আগে এখানে আসার পর থেকে তারা আমাদের অনেক সমর্থন দিয়েছে।’
নিজের মাঠে আল আহলি প্রবেশ করে ফেবারিট হিসেবেই। এছাড়া তাদের দলে ছিল দামী বিদেশি খেলোয়াড়দের সমন্বয়ও ছিল। যাদের মধ্যে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী রিয়াদ মাহরেজ এবং অধিনায়ক রবার্তো ফিরমিনো অন্যতম।
আমার বার্তা/জেএইচ