বাংলাদেশে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, তাদেরকে বুঝতে হবে যখন আমি তাদের দলে যোগ দিই তখন তারা র্যাঙ্কিংয়ে ছিল নবম স্থানে। আর তারা এখনো সেই একই জায়গায় আটকে আছে। উন্নতি করতে চাইলে আপনি বারবার একই কাজ করতে পারেন না।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল থেকে সদ্য পদত্যাগ করা সহকারী কোচ এভাবেই জানাচ্ছিলেন নিজের সময়ে ক্রিকেট বোর্ডের চ্যালেঞ্জের কথা। নিজের মেয়াদ শেষের আগেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সাবেক এই প্রোটিয়া ক্রিকেটার। যদিও ঠিক কী কারণে পদত্যাগ করেছেন তা সম্পর্কে জানা যায়নি।
এরইমাঝে নিক পোথাস কথা বলেছেন ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের সঙ্গে। যেখানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট, সাবেক ও বর্তমান বোর্ড সভাপতি নিয়ে আলোচনা। সঙ্গে ছিল বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ আর প্রতিকূলতার কথা।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের হালচাল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও তার বোর্ডের ওপর বেশ বড়সড় অভিযোগই এনেছেন নিক পোথাস। তার ভাষ্য, পাপন সভাপতি থাকাকালেই ক্রিকেটের উন্নয়নে বাধা ছিল বেশি, ‘বোর্ডের আগের পরিচালকরা অবশ্যই বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে বড় একটি বাধা ছিল। বাংলাদেশে প্রতিভার অভাব নেই। খেলোয়াড়দের যখন ভালো কোচিং করানো হয়, তখন তারা দ্রুত মানিয়ে নেয় এবং দারুণ কিছু অর্জন করার সম্ভাবনা থাকে; কিন্তু ওপর থেকে সবসময় হস্তক্ষেপ করা হয়।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটে পর্যাপ্ত রসদ না থাকার কথাও উঠে এসেছে তার আলাপে, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ধনী বোর্ড এবং এশিয়ার বেশিরভাগ ক্রিকেট খেলে, কিন্তু বাংলাদেশে স্পিন বোলিং মেশিন নেই, অথচ যুক্তরাজ্যের প্রতিটি কাউন্টিতে একটি করে মেশিন রয়েছে। এমন ঘাটতি থাকলে বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়ন হবে কিভাবে?’
পুরোনো বোর্ড কি অনেক হস্তক্ষেপ করেছিল– এমন প্রশ্নে যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওপর একপ্রকার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পোথাস, ‘তারা ক্রমাগত হস্তক্ষেপ করেছে এবং এটি সহজে পরিবর্তন হবে না। বিশ্বের সবচেয়ে সফল ক্রিকেট দলগুলো কারা চালায়! বোর্ড কি ক্রিকেট চালায়! কেউ বলতে পারবেন? প্রশাসকদের কাজ হলো ব্যবসা চালানো, ক্রিকেট নয়। ক্রিকেট চালায় ক্রিকেটাররা।’
নিক পোথাসের অভিযোগ, বাংলাদেশে ক্রিকেটের উন্নয়নে না বরং অন্য কারো এজেন্ডা বাস্তবয়ানের লক্ষ্যে দিনের পর দিন একইরকমের উইকেট তৈরি করছে, বাংলাদেশের উইকেট বিষয়টির (ক্রিকেট উন্নয়ন) একটি বড় অংশ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ওই উইকেটগুলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য নয়, অন্য কারো এজেন্ডার জন্য তৈরি। এমন পিচ আমাদের বোলারদের উন্নতি করতে সাহায্য করে না। তারা যখন বিদেশে যায় তখন ভালো পিচে বল করতে কষ্ট হয় তাদের। তারা শুধু বাংলাদেশের উইকেটে বোলিং করতে অভ্যস্ত।
আমার বার্তা/জেএইচ