আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্য ১২.১ ওভারে ছুঁতে পারলে সেমিফাইনালে উঠতো বাংলাদেশ। অথচ পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারানোর পর সেই চেষ্টা প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন ব্যাটাররা। ৮ রানে ম্যাচ হেরে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। অথচ সেমিতে যাওয়ার এই সুযোগটা শেষ বল পর্যন্ত কাজে লাগানোই ছিল স্বাভাবিক। অন্য দেশগুলো সেভাবেই হয়তো খেলতো, কিন্তু বাংলাদেশ আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছে। ফলে দুই কূলই হারিয়েছে।
সেমিফাইনালে যাওয়ার চেষ্টা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ স্লো ব্যাটিংয়ে জয়ের চেষ্টা করেছে। শান্তদের এমন পরিকল্পনায় হতবাক বিশ্ব ক্রিকেটের অনেকেই। বাংলাদেশের সাবেক দুই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তামিম ইকবালও দলের এমন পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করলেন। ম্যাচ শেষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মাশরাফি লিখেছেন, ‘আজকের হিসাবটা ছিল শুধুই ১২.১। এর বাইরে কিছুই ভাবার সুযোগ ছিল না। তাতে যদি ৫০ রানেও দল অলআউট হতো, অন্তত সবাই সেটা সহজভাবে নিতো।’
মাশরাফি আরও বলেছেন, ‘যদি এই ম্যাচ জিততাম, তাও বিবেকের কাছে হেরে যেতাম। এ ম্যাচ আর দশটা ম্যাচের মতো ছিল না আমাদের জন্য, এটা ছিল ইতিহাস গড়ার সমান। এরপরও অবশ্যই আশা দেখি বা দেখবো ইনশাআল্লাহ। হয়তো কোনও একদিন।’
এদিকে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর টাইমড আউট অনুষ্ঠানে তামিম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার জন্য রান তাড়া করা উচিত ছিল। এতে যদি ৬০-৭০ রানে আউট হয়ে যেতে হয়, তারপরও। আজকে সুযোগ ছিল খুব বিশেষ কিছু করার। আর এমন সুযোগ সবসময় আসে না।’
শান্ত স্বীকার করে নিয়েছেন, ৩ উইকেট হারানোর পর সেমিতে যাওয়ার হিসাব বাদ দিয়ে ম্যাচ জেতার পরিকল্পনা সাজিয়েছিলেন তারা, ‘পরিকল্পনা এরকম ছিল- প্রথম ৬ ওভার চেষ্টা করবো। যদি ভালো শুরু করি, দ্রুত উইকেট না পড়ে, ওই সুযোগটা নেবো। কিন্তু যখন ৩টা উইকেট পড়ে গেলো, আমাদের পরিকল্পনা ভিন্ন ছিল, কীভাবে আমরা ম্যাচটা জিততে পারি। তারপর বলবো, মিডল অর্ডার সে রকম ভালো সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ কারণে আমরা হেরে গেছি।’
আমার বার্তা/এমই