কুয়েতে আইন বহির্ভূত কাজের জন্য চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনী। সাধারণত প্রবাসীদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ও কর্মস্থলে চালানো হচ্ছে এই অভিযান ।
দেশটির আইন অমান্য করে ইচ্ছেমতো যেখানে সেখানে কাজ করা, ফুটপাতে দোকান সাজিয়ে বসা, লাইসেন্স বিহীন হোটেল বা অন্য কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার মতো কাজ কিংবা একই রুমে গাদাগাদি করে অনেকজন বসবাস করা কুয়েতে সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত কাজ বলে বিবেচিত।
এই অভিযানে যৌথভাবে অংশ নেয় দেশটির জেনারেল ডিরেক্টরেট অফ ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনস, জেনারেল ফায়ার ডিপার্টমেন্ট, কুয়েত পৌরসভা, বিদ্যুৎ, পানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ বিষয়ক পাবলিক অথরিটি।
বৃহস্পতিবার রাতে কুয়েতের বিভিন্ন দেশের শ্রমজীবী প্রবাসীদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা জিলিব আল সুয়েখ ও খাইতানে ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে দেশটির যৌথ বাহিনী। এই অভিযান পরিচালিত হয় প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল-সাবাহর সরাসরি তত্ত্বাবধানে।
অভিযানে ১৯টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স না থাকায় বন্ধ করে দেয়া হয়। অনুমতিহীন ব্যবসা পরিচালনার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও আইন লঙ্ঘনের নোটিশও জারি হয়েছে। অভিযান চলার সময় বেশ কয়েকটি মোবাইল মুদিখানা যানবাহন জব্দ করা হয়।
এদিকে শুক্রবার দেশটির ফ্রাইডে মার্কেটে রেইড দিয়ে বিভিন্ন দেশের ৫২জন প্রবাসীকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে কুয়েত থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশও দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত সপ্তাহে দেশটির জাহারা প্রদেশের মোতলা অঞ্চলে শ্রম ও আবাসিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৬৮ জন শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১৩০ জন গৃহকর্মী এবং ৩৮ জন বেসরকারি খাতের কর্মচারী রয়েছেন।
প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সমস্ত লঙ্ঘনকারীদের রেসিডেন্সি অ্যাফেয়ার্স তদন্ত বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ আল-সাবাহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে পরিদর্শন তীব্রতর করার, অনিয়মে জড়িত ব্যবসা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করার এবং আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আইন লঙ্ঘন, জননিরাপত্তা জোরদার এবং সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে এ ধরনের যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আমার বার্তা/এল/এমই