বাংলাদেশের মানুষ কখনও স্ট্যাবলিশমেন্ট কে মেনে নেয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আয়োজিত ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাদের কে ভালবাসে একটি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তর করেছে। তারা কিন্তু পাশাপাশি আরও একটি দাবি করছে, আমাদের দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের সমাজ কে রূপান্তরিত করতে হবে। এই দায়িত্ব সরকার কতটা সঠিকভাবে পালন করছে, করছে না এটা কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের রাডারে আছে। এটা অস্বীকার করা যাবে না।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, নতুন প্রজন্ম আমাদের সামনে রয়েছে, তারা থাকবে। আমরাও একদিন নতুন প্রজন্ম ছিলাম, নতুন প্রজন্ম শুধু বয়স দিয়ে নির্ধারণ হয় না, নির্ধারণ হয় নতুন ধ্যান ধারণায়। ছাত্র জনতা আত্মত্যাগ করেছে, দীর্ঘ দেড় দশক ধরে বাংলাদেশের গণতান্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদ করে যাচ্ছিল। মিথ্যা গায়েবী মামলা দেয়া হয়েছিল। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা রাতে ঘরে ঘুমাতে পারেনি। সেই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সংগ্রামে ৫ আগস্ট বিপ্লবের সর্বশেষ অংক ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, এই যে মানুষের প্রতিবাদের ইতিহাস, বাংলাদেশ ভূখণ্ডের মানুষের প্রতি, ভোটের প্রতি, সুশাসনের প্রতি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতি যে আকর্ষণ তা যুগ যুগ ধরে আমরা দেখেছি।
বাংলাদেশের মানুষ সচেতন, তারা আমাদের পর্যালোচনা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা একদিন ভালবেসে আমাদের গলায় ফুলের মালা দেয় ঠিক তার পরদিন তারা এন্টিএস্টিবল্যাশমেন্ট হয়ে একই মানুষের কাছে জবাবদিহি চায়।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত আছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, সামসুজ্জামান দুদু, উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও বিএনপির শিক্ষা সম্পাদক এস এম ওবায়দুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এ এস এম আমানউল্লাহ, কার্যনির্বাহী সদস্য রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।
আমার বার্তা/এমই