অমর একুশের প্রথম প্রহরে বিনম্র শ্রদ্ধা, ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ ও যথাযথ মর্যাদায় ভাষাশহীদদের স্মরণ করেছে জাতি। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেজে ওঠে কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।
রাত ১২টার পর প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর রাত ১২টা ১২ মিনিটের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
প্রধান উপদেষ্টার পরে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাবৃন্দ, রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, কূটনৈতিক এবং বিদেশী মিশনের প্রধানবৃন্দ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকালে মাইকে বেজে ওঠে কবি আল মাহমুদের কবিতা ‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ দুপুর বেলার ওয়াক্ত, বৃষ্টি নামে বৃষ্টি কোথায় বরকতের রক্ত…’
তাদের পরে জনসাধারণের জন্য শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। একে একে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, ছাত্রসংগঠন জাতির মহান ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
আমার বার্তা/এমই