আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। আপনার সন্তানই আপনার বৃদ্ধ বয়সের সঙ্গী, তাই সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তুলুন। আমাদের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যায় অনেক মা বাবাই তাদের সন্তানদের অতি আদর দিয়ে আহ্লাদি করে তোলেন। সারাক্ষণ আগলে না রেখে বাচ্চাকে স্বাবলম্বী হওয়ার শিক্ষাই দেওয়া উচিত, যাতে বন্ধুদের সঙ্গে ঝামেলা, স্কুলের সমস্যা সে নিজেই মিটিয়ে নিতে পারে।
অতিরিক্ত আদরের ফলে আমাদের সমাজে আশেপাশে অনেক পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। আমাদের চোখের সামনে, এর মধ্যে সাড়া ফেলেছে ২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের একমাত্র আদরের কন্যই তাদের হত্যা করে। পুলিশ সূত্রে জানায় ঐশীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে পড়তে বাধ্য করার ফলে ঐশী সিদ্ধান্ত নেন সে তার মা-বাবাকে হত্যা করে স্বাধীন হবে। এরকম হাজারো উদাহরণ আমাদের সমাজে আছে। তাই আপনি যদি আপনার সন্তানকে সু-মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারেন সবচেয়ে বড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আপনারই আছে।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় বিশ্বব্যাপী ২০২৩ সালে প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন নারী তার সঙ্গী বা পরিবারের সদস্যদের হাতে খুন হয়েছেন। এর মধ্যে কেউ সন্তানের হাতে, কেউ তার স্বামীর হাতে কেউবা আবার নিজ পিতা-মাতার হাতে। এতে করে বলাই যায় সুন্দর বিশ্ব গড়তে প্রত্যেকে তার সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
আমাদের সমাজে দেখা যায় প্রতিটা মা-বাবাই তাদের মা-বাবার চাইতেও সন্তানদের বেশী আদর করেন। আপনি আপনার সন্তানকে আদর করবেন ভালোবাসবেন ঠিক আছে. সেই সাথে সন্তানকে এটাও শিখান যে সবার উপারে মা-বাবা। সমাজে বিত্তশালীদের অনেককেই দেখা যায় সন্তান থাকা স্বত্বেও তারা শেষ বয়স বৃদ্ধাশ্রমে কাটান, বেশীর ভাগই বিদেশে থাকে তাই তারা তাদের পিতা-মাতার জন্য বৃদ্ধাশ্রমই ঠিক করে নেন। আবার তাদের সন্তানও তাদের সাথে এমন করে বলে আমাদের সমাজে দেখা যায়। আপনি আপনার সন্তানকে শেখান যে, মা-বাবার বৃদ্ধ বয়সে সন্তানই তাদের ভরসা। নিজের সন্তানের থেকেই যাতে মা-বাবার প্রতি বেশী গুরুত্ব দেয়। কারন ১৭-১৮ বছরের পর যে কোন সন্তান কোন কর্ম করে তার ব্যয় ভার বহন করতে পারবে কিন্তু ৬০-৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধ/বৃদ্ধা তা পারবে না।
সন্তানকে মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব শেখান : মা-বাবা ছোট দুটি শব্দ, দুটি শব্দের মধ্যে লুকিয়ে আছে আদর, স্নেহ ও ভালবাসা যা দুনিয়ার কোনো মাপযন্ত্র দ্বারা পরিমাপ করার সাধ্য কারো নাই। মা-বাবা সন্তানদের জন্য কত কষ্ট করেছেন তার হিসেব বুঝতে পারেন যাদের মা-বাবা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেছেন। মা-বাবা সন্তানদের জন্য বড় নিয়ামত। সৃষ্টিকর্তা মানবজাতিকে মা-বাবার মাধ্যমেই ধরনীর আলো বাতাস দেখিয়েছেন। পৃথিবীর মাঝে মা-বাবাই সন্তানের আপনজন। সন্তানের জন্য মা-বাবার মতো আপন পৃথিবীতে দ্বিতীয় কেউ নেই। সন্তান জন্ম নেয়ার পর মা-বাবা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেন। সৃষ্টিকর্তা মা-বাবার খেদমত করার জন্য সর্বাধিক তাগিদ দিয়েছেন। মহান প্রভু তাঁর ইবাদতের পর মা-বাবার খেদমত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মুসলিম জাতির উপর সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করা ফরজ ঠিক মা-বাবার খেদমত করা প্রত্যেক মানুষের উপরও ফরজ। সর্বাস্থায় আল্লাহর সকল হুকুম পালনে বাধ্য থাকতে হবে, তেমনি জীবনের প্রতিক্ষেত্রে মা-বাবার অনুগত থেকে তাঁদের খেদমত করতে হবে।
সৃষ্টিকর্তা ইরশাদ করেন- তোমাদের প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তিনি ব্যতীত তোমরা অন্য কারো ইবাদত করোনা, এবং মা-বাবার প্রতি সর্বদা সদ্ব্যবহার কর। তাদের একজন বা উভয়েই তোমাদের জীবদ্দশায় বার্ধ্যকে উপনীত হলে তাদেরকে ‘উফ’ শব্দ বলোনা (বিরক্তি, উপেক্ষা, অবজ্ঞা, ক্রোধ ও ঘৃণাসূচক কোনো কথা) এবং তাদেরকে ধমক দিওনা, তাদের সাথে সম্মান সূচক নম্র কথা বল। মমতাবশে তাদের প্রতি নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত কর এবং বল “হে আমার রব ! তাদের প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তাঁরা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন। তোমাদের অন্তরে যা আছে তা তোমাদের প্রতিপালক ভাল করেই জানেন। যদি তোমরা সৎ হও, তবে তিনি তওবাকারীদের জন্য ক্ষমাশীল”। অন্যত্রে ইরশাদ হচ্ছে, “তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত করবে ও কোন কিছুকে তাঁর সঙ্গে শরীক করবে না এবং মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন, এতিম-অনাথ, অভাবগ্রস্থ, নিকটাত্মীয়, দূর, প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে” । মানুষের সম্পদ সৃষ্টিকর্তার জন্য ব্যয় যেমনি করতে হবে ঠিক সন্তানরাও মা-বাবার খেদমতের জন্য ব্যয় করতে হবে। মা-বাবা সন্তানের অতি আপনজন। তাঁদের সর্বাবস্থায় সন্তুষ্ট রাখতে হবে, সম্মানপ্রদর্শন করতে হবে, সেবা করতে হবে।
বর্তমান সমাজে অশিক্ষিত লোকেরা মা-বাবার সাথে দুর্ব্যবহার করছেই; আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত লোকদের অবস্থা করুণ ও ভয়াবহ। অশিক্ষিত লোকদের চেয়ে শিক্ষিতরা আধুনিকতার দম্ভে মা-বাবার সাথে দুর্ব্যবহার করছেন। শিক্ষিত ছেলেরা যদি শিক্ষিত স্ত্রী পেয়ে যান তাহলে মা-বাবার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। কারণ বয়োবৃদ্ধ মা-বাবার সেবায় এগিয়ে এলে তাদের বর্তমান আধুনিক স্টাইল নষ্ট হয়ে যাবে। বিধায় মা-বাবার খেদমতের ধারে কাছে আসতে রাজি হন না; বরং দূরে দূরে থাকতে চান।
শিক্ষিত-অশিক্ষিত ছেলেরা তারা তাদের প্রিয়তমা স্ত্রীর কুপরামর্শে মা-বাবার স্বগীয় সাহচর্য ছিন্ন করতে বাধ্য হন, যা অনেক হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী। বর্তমান সমাজে এটার অন্যতম কারণ ইসলামি সুশিক্ষা ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়। শিক্ষিত লোক মা-বাবার সাথে দুর্ব্যবহার করবে কেন? স্ত্রীর সুপরামর্শ সায় না দিয়ে কুপরামর্শে সায় দেবে কেন? শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা মা-বাবার অবাধ্য হলে জাতি নৈতিকতা শিখবে কোথায়? সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য নিশ্চিই মা-বাবার বাধ্য থাকতে হবে এবং তাঁদের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করুন : এ কথা অনস্বীকার্য যে শিশুদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে ধর্মীয় শিক্ষার বিকল্প নেই। কারণ ধর্ম মানুষকে তার সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে পরিচয় করে দেয়।
তাঁর আদেশ-নিষেধ ও পছন্দ-অপছন্দ জানিয়ে দেয়। উত্তম চরিত্র ও নৈতিকতা শেখায়। গর্হিত স্বভাব ও কাজ থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করে। এভাবেই ধর্মীয় শিক্ষা একটি শিশুকে একজন নীতিমান মানুষে পরিণত করে। এ কারণেই ইসলামে শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়ার প্রতি অত্যন্ত জোর দেওয়া হয়েছে।
রাসুল (সা.) এরশাদ করেন, ‘তোমরা সন্তানদের (শিশুদের) স্নেহ করো, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো এবং তাদের সদাচরণ ও শিষ্টাচার শেখাও।’ (তিরমিজি) অন্য হাদিসে বলেন, ‘বাবার পক্ষ থেকে সন্তানের প্রতি সর্বোত্তম উপহার হলো উত্তম শিক্ষা।’ (তিরমিজি) আরেক হাদিসে বলেন, ‘তোমরা তোমাদের শিশুদের তিনটি স্বভাবের ওপর প্রতিষ্ঠিত করে তোলো—তোমাদের নবীর প্রতি ভালোবাসা, নবীর পরিবারের প্রতি ভালোবাসা এবং কোরআন অধ্যয়ন। কেননা, কোরআনের ধারকেরাই সেদিন (কেয়ামতের দিন) নবী ও সজ্জনদের সঙ্গে আরশের ছায়ায় অবস্থান করবে, যেদিন আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না।’ (তাবরানি) অন্য হাদিসে বলেন, ‘নৈতিক শিক্ষা মা-বাবার ওপর শিশুর অধিকার।’ (বায়হাকি) খলিফা ওমর (রা.) বলেন, ‘আল্লাহর কিতাব (কোরআন) শেখানো মা-বাবার ওপর সন্তানের অধিকার।’ (তারবিয়াতুল আওলাদ) পৃথিবীর সকল ধর্মই মানুষকে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়। আপনি যেই ধর্মেরই হোন না কেন আপনি আপনার সন্তানকে সেই ধর্মের সর্বোচ্চ শিক্ষাই দেন।
অতিরিক্ত আহ্লাদ দেওয়া বন্ধ করুন : একটি মাত্র সন্তান যাঁদের, তাঁরা একদিকে যেমন সবসময় বাচ্চার দিকে সতর্ক নজর রাখেন, তেমনি বাচ্চার নিরাপত্তার ব্যাপারেও তাঁরা খুবই স্পর্শকাতর হন। বাচ্চা পড়ে গেলে বা কাঁদলে তাঁরা কী করবেন বুঝে উঠতে পারেন না। কিন্তু সারাক্ষণ আগলে আগলে না রেখে বাচ্চাকে স্বাবলম্বী হওয়ার শিক্ষাই দেওয়া উচিত, যাতে বন্ধুদের সঙ্গে ঝামেলা, স্কুলের সমস্যা সে নিজেই মিটিয়ে নিতে পারে।
বাচ্চাকে শৃঙ্খলা মেনে চলতে শেখান : বাচ্চা রাস্তায় বেরোলেই যদি নতুন খেলনার জন্য বায়না করে, আর আপনি কিনে দেন, তা হলে কিন্তু ভবিষ্যতের সমস্যাকেই আপনি সারজল দিয়ে বড়ো করছেন। এতে বাচ্চা বুঝে যাবে, কী করলে আপনার মন গলানো সম্ভব। তাই বাচ্চা কাঁদলেই তার বায়না মেটাতে উদগ্রীব হয়ে পড়বেন না। বরং ওকে বুঝতে দিন, সবকিছু ও চাইলেই পেয়ে যাবে না। প্রতিদিনের একটা রুটিন বেঁধে দিন, গৃহকর্মীদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করতে শেখান। নিজের চাহিদার পাশাপাশি অপরের চাহিদাকেও সম্মান করার শিক্ষা বাচ্চাকে দেওয়া দরকার।
‘আমি’ নয় ‘আমরা’ শেখান : পরিবারে একটি মাত্র বাচ্চা থাকলে তার ধারণা হয়ে যায়, তার কথাই শেষ কথা। এই ধারণা একবার জন্মালে বাচ্চা প্রচণ্ড একগুঁয়ে হয়ে যায়। শিশুকে মানুষ করে তোলার প্রথম ধাপ, তাকে এই ধারণা থেকে বের করে নিয়ে আসা। ফলে আপনার যদি একটি সন্তান থাকে, তা হলে তাকে শুরু থেকে বোঝান, তার ইচ্ছে অনিচ্ছের উপর নির্ভর করে সবকিছু চলবে না। বাচ্চাকে বন্ধু বা তুতো ভাইবোনের সঙ্গে খেলনা বা খাবার ভাগ করে নিতে শেখান প্রথম থেকেই এবং তার সঙ্গে নিজেরাও সেই পথ অনুসরণ করুন।
বাচ্চাকে অনুভূতিপ্রবণ করে তুলুন : মনস্তত্ত্ববিদেরা বলছেন, বাচ্চাকে প্রথম থেকেই খোলামেলা পরিবেশে বড়ো হতে দিলে তাদের অনুভূতিগুলো জোরদার হয়ে ওঠে। বাচ্চাকে ব্যর্থতা, হতাশা, উদ্বেগ, ভয়ের মতো অনুভূতিগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে দিন। একমাত্র সন্তানেরা সবসময় চায় তাকে সবাই ভালো বলবে, বাহবা দেবে। জানা অঙ্ক ভুল করে ফেললে, আচমকা ফুলদানি ভেঙে ফেললে বাচ্চা নিজেই নিজের উপর রেগে যায়। বাচ্চাকে বোঝান, মাঝেমাঝে ভুল হওয়া খুব স্বাভাবিক। সবসময় সব কিছু ঠিক কাজ কোনও মানুষই করতে পারে না। তাই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। বাচ্চা একবার সে কথা বুঝে গেলে পরবর্তী পথ নিজেই ঠিক করে নেবে।
সন্তানকে সামাজিক করে তুলুন : অনেক সময়ই দেখা যায়, এক সন্তান একাকীত্বের শিকার হয়। বাবা-মায়ের অখণ্ড মনোযোগও সেই একাকীত্ব কাটাতে পারে না। তাই শুরু থেকেই বাচ্চাকে নানারকম সামাজিক পরিস্থিতিতে ছেড়ে দিন। পার্কে বেড়াতে নিয়ে যান, হবি ক্লাসে ভর্তি করে দিন, সামার ক্যাম্পে পাঠান। তাতে বাচ্চার নিজস্ব সামাজিক বৃত্ত তৈরি হবে, নিজের জিনিসটা আর পাঁচজনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে শিখবে। এতে ভবিষ্যতে বিভিন্ন সামাজিক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াও বাচ্চার পক্ষে সহজ হবে।
‘ধন্যবাদ’ দিতে শেখান : অন্যকে ছোট্ট একটা ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমেই আপনি কৃতজ্ঞতার চর্চা শেখাতে পারেন। এতে সম্পর্ক সহজ, সুন্দর থাকে। এই ছোট্ট চর্চার মধ্য দিয়েই জীবন অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
শেখান, কীভাবে কোনো জিনিস বিক্রি করতে হয় : মনে করুন, আপনার শিশু ছবি আঁকতে পারে। আপনি তাকে সেটা বিক্রি করতে শেখান। আপনার শিশুর ভেতর যে গুণ আছে, সেটাকে ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে শেখান, স্বাবলম্বী হতে শেখান। যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি, আত্মবিশ্বাস তৈরি, কোনো জিনিসের মূল্যায়ন, অর্থনৈতিক সচেতনতা তৈরি, উদ্যোক্তার মানসিকতা তৈরি করতে আপনার সন্তানকে ছোট থেকেই শেখান, কীভাবে কোনো জিনিস বিক্রি করতে হয়। এটা আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ সুন্দর করতে অনেক বেশি কার্যকর হবে।
প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীকে ভালোবাসা শেখান : যেকোনো ভালো মানুষের স্বভাবজাত গুণ হলো তিনি প্রকৃতিকে, পোষা প্রাণীকে ভালোবাসবেন। প্রকৃতিপ্রেমী মানুষেরা প্রকৃতির পাশাপাশি প্রকৃতির উপাদানগুলোর প্রতিও যত্নশীল হয়। আপনার সন্তানের ভেতর প্রাণ, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুলুন। সবুজের প্রতি যত্নশীল করে তুলুন। আপনি যদি আপনার সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তবে আপনার সন্তানের দ্বারা যদি কারো উপকার নাও হয় কারো ক্ষতি হবে না, কিন্তু যদি মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারেন সবচেয়ে বড় ক্ষতি কিন্তু আপনারই হবে।
আমার বার্তা/এমই