জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন—এমন নির্দেশনার একটি অডিও কল যাচাই করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। বিবিসি’র সেই প্রতিবেদনের লিংক শেয়ার করে ফেসবুকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম লিখেছেন, এই কল রেকর্ড বিবিসি উদ্ধার করেনি, করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ।
বুধবার (০৯ জুলাই) বিবিসির প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সে সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৫২ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথোপকথনের একটি ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ডিং যাচাই করে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অনুমতি তিনি নিজেই দিয়েছিলেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবিসি আলাদাভাবে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইয়ারশটের অডিও ফরেনসিক এক্সপার্টদের দিয়ে এই রেকর্ডিংয়ের সত্যতা যাচাই করেছে। ওই ক্লিপে কোনও রকম পরিবর্তন করার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে দাবি করছে ইয়ারশট। অডিওটি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে এমন সম্ভাবনাও খুবই কম বলে তারা জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম লিখেছেন, মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। নিজের চোখেই দেখে নিন।
তবে এই কল রেকর্ড বিবিসি উদ্ধার করেনি, করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা। এটা ট্রেলার মাত্র। অনেক কিছু এখনও বাকি। অপেক্ষায় থাকুন।
এর আগে, বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম কয়েকটি গণমাধ্যমকে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আন্দোলনকারীদের ওপর ‘প্রাণঘাতী’ অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে, তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে আছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন’ করলে বিচারের সময় এই ফোনালাপ সাক্ষ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
আমার বার্তা/এমই