পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন। ঈদ উদযাপনে ট্রেনে, বাসে, নৌযানে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই। রাজধানীর গাবতলীতে বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তাদের অনেকের অভিযোগ, লোকাল বাসগুলোয় বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
ঈদ উপলক্ষে আগামীকাল ৫ জুন থেকে শুরু হচ্ছে সরকারি ছুটি। আজ বুধবার শেষ কর্মদিবস। ফলে আজ থেকে বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় বাড়বে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীতে রিকশা চালান দেলোয়ার। তিনি রংপুর যাবেন লোকাল পরিবহনে। তার কাছে বাসভাড়া চাওয়া হচ্ছে ৯০০ টাকা। অথচ বছরের অন্যান্য সময়ে ৫৫০ টাকায় যাওয়া যেত। দেলোয়ার বলেন, ‘আমরা যারা নিম্নআয়ের মানুষ তারা ভালো পরিবহনে যেতে পারি না। এ কারণে লোকাল পরিবহনকে বেছে নেই আমরা। এখন ভালো পরিবহনের মতোই টাকা চাচ্ছেন চালক। তাহলে কীভাবে পরিবার নিয়ে গ্রামে ঈদ করতে যাবো। আমরা সিন্ডিকেট থেকে বের হতে চাই, ভাড়া বৈষম্য থেকে মুক্তি চাই।’
ফেরদৌস আহমেদ নামে এক যাত্রী নাটোর যাবেন। অন্যান্য দিনের লোকাল পরিবহনের ভাড়া ২৫০ টাকা হলেও এখন চাওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। ফেরদৌস বলেন, ‘আগের মতোই যদি সব কিছুতে সিন্ডিকেট চলে তাহলে গরিবের ঈদ থাকে না, কোন আনন্দও থাকে না। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাই এই সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হোক, ন্যায্যা ভাড়ায় সবাই গ্রামে যেন ঈদ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হোক।’
ইমন আহমেদ নামে এক যাত্রী বলেন, ‘আমি ফরিদপুর যাবো। লোকালে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত যেতে এর আগে ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা ভাড়া হলে এখন চাওয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এভাবে বেশি ভাড়া আদায় করলে কষ্ট হয় সাধারণ মানুষের। এটা দেখার কেউ থাকে না। এর আগেও এভাবেই বাড়তি ভাড়া আদায় করা হতো। অথচ জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমেছে। আমরা বাড়তি ভাড়া থেকে পরিত্রাণ চাই।’
তবে গাড়ির চালক ও হেলপাররা বলছেন ভিন্ন কথা। লোকাল পরিবহন সেলফির হেলপার জয়নাল বলেন, ‘এখন গাবতলী থেকে সব বাস যাত্রী নিয়ে যায়, তবে আসার সময় খালি আসে। এ কারণে কিছুটা বেশি রাখা হয়। তবে সেটা আহামরি না। আমরা কোন সিন্ডিকেটের অধীনে না। যাত্রীর কাছ থেকে দাবি নয় চেয়ে ভাড়া নিচ্ছি। তারাও (যাত্রী) খুশি হয়ে বেশি দেন।’
তবে ভিন্নতা দেখা গেছে, আন্তনগর পরিবহনের ক্ষেত্রে। আগেই কাটা অগ্রিম টিকিটে চলছে ঈদযাত্রা। এ বিষয়ে রয়েল এক্সপ্রেসের চালক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের কোন অতিরিক্ত যাত্রী বা অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার নিয়ম নেই। আগেই বিক্রি হওয়া টিকিটে যাত্রা চলছে। যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণে চাঁদ রাত পর্যন্ত বাস চলাচল করবে।’
আগামী ৭ জুন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদুল আজহার ছুটি শুরু আগামীকাল ৫ জুন থেকে। টানা ১০ দিন ছুটি থাকবে। ছুটি শেষ হবে ১৪ জুন।
আমার বার্তা/জেএইচ