মিশরে আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশের মানুষের পাঠানো অনুদান দিয়ে কেনা হচ্ছে কোরবানির পশু।
আলহাজ শামসুল হক (আশ) ফাউন্ডেশনসহ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মানবিক সংগঠনগুলোকে মিশরের রাজধানী কায়রোর বিভিন্ন এলাকা থেকে উট, গরু, দুম্বা ও ছাগল কিনতে দেখা যায় গত কয়েকদিন ধরে।
আশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন জানান, এবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় কোরবানির পশুর স্বল্পতা ও অত্যধিক চড়া দামের জন্য সেখানে কোরবানি করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই মিশরে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে আমি মিশরে এসেছি। এরই মধ্যে আশ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীদের পাঠানো অনুদান দিয়ে কোরবানির জন্য কিনেছি উট, গরু ও দুম্বা। যা ঈদের দিন কোরবানি করে তার গোস্ত ও এর সঙ্গে ঈদ উদযাপনের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীসহ বিতরণ করা হবে শতশত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মাঝে।
মিশরে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মানবিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হুজাইফা খান জানান, গত বছরের মতো এবারো মিশরে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে ইলমান নাফিয়া ফাউন্ডেশন ও ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে বাংলাদেশিদের পাঠানো অনুদান দিয়ে একটি উট, একটি গরু, পাঁচটি দুম্বা ও পাঁচটি ছাগল কোরবানি করে তার গোস্ত ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু পরিবারের মাঝে বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছি।
আমার বার্তা/এল/এমই