২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া অনুমোদন চূড়ান্ত দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ অধ্যাদেশের খসড়া উপস্থাপন করেছে।
লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে অধ্যাদেশে কি আছে সে বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু জানায়নি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুত করা সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছিল, সরকারি কোনো কর্মচারী যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হন, যার কারণে অন্য যে-কোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে; অন্যান্য কর্মচারীদের সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে, ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া, নিজ কর্মে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন; অন্য যে-কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন; যে-কোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন- তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।
দোষী কর্মচারীকে নিম্নপদ বা নিম্নবেতন গ্রেডে অবনমিতকরণ বা চাকরি হতে অপসারণ চাকরি হতে বরখাস্ত দণ্ড দেওয়া যাবে বলে খসড়া অধ্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় এটি এভাবে রাখা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। সংশোধিত আইনের খসড়ার এ বিধানের বিরোধিতা করছেন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এছাড়া ‘দ্য প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিস (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫’ ও ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবার এবং আহত ছাত্র-জনতার কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
একই সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদ বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস সরকারের মধ্যে নৌ-প্রতিরক্ষা সামগ্রী সংক্রান্ত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে আশু বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশসমূহের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
এ বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপস্থাপিত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নযোগ্য কি না, বাস্তবায়নযোগ্য হলে বাস্তবায়নের সম্ভাব্য সময়সীমা এবং বাস্তবায়নের প্রভাব/সংশ্লেষের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ দফাওয়ারী সুচিন্তিত মতামত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে উপস্থাপন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করবে।
আমার বার্তা/এমই