ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ওমানের রাজধানী মাস্কটে ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তখন জয়শঙ্করকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান উপদেষ্টা।
জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান উপদেষ্টা।
তৌহিদ হোসেন বলেন, আমি তাকে (জয়শঙ্কর) আমন্ত্রণ জানিয়েছি। বলেছি, আমাদের তো পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে, মন্ত্রী পর্যায়েও কিন্তু আমাদের একটা মেকানিজম আছে। আমি তাকে (জয়শঙ্কর) বলেছি, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতবার আপনাদের দেশে গিয়েছেন, এখন আপনার আসার কথা ঢাকায়। আপনি সময় জানালে আমরা ব্যবস্থা করব।
আমন্ত্রণের বিষয়ে জয়শঙ্কর কি বলেছেন জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, তিনি ইতিবাচক।
তৌহিদ হোসেন বলেন, শুরুতে তো (অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর) যে টানাপোড়ন ছিল সেটা সবাই জানে। আমরা স্বীকারও করেছিলাম। ব্যবসা মোটামুটি পিকআপ করেছে। দেখা গেছে যে, আগের লেভেলে পৌঁছে গেছে, এগুলো ইন্ডিকেশন। কিছু টানাপোড়ন এখনো রয়ে গেছে, যেমন-ভিসাসহ কিছু সমস্যা আছে।
‘কিন্তু দুই পক্ষই আমরা মোটামুটি এ ব্যাপারে একমত হয়েছি যে, এগুলো সব দূর করে একটা গুড ওয়ার্কিং রিলেশনে আমাদের পৌঁছাতে হবে,’ যোগ করেন তৌহিদ হোসেন।
মাস্কটে তৌহিদ-জয়শঙ্করের বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে চ্যালেঞ্জ ও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, তা স্বীকার করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা নির্দিষ্ট করে বলিনি এই উদ্বেগ আছে। আমরা স্বীকার করেছি, কিছু উদ্বেগ রয়ে গেছে; এগুলো আমাদের দূর করতে হবে এবং দুইপক্ষ একমত এগুলো দূর করতে হবে। সম্পর্কটা যাতে উন্নত হয় সেটা দেখতে হবে।
ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরানোর আলোচনায় উপদেষ্টা বলেন, ওটা নিয়ে নির্দিষ্ট করে আলোচনা হয়নি। আমরা ইন জেনারেল সবগুলো নিয়ে কথা বলেছি।
শেখ হাসিনাকে সরিয়ে রেখে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে পাল্টা প্রশ্নে তিনি বলেন, সরিয়ে রাখার ব্যাপার না। কোর্ট চেয়েছে তাকে, আমরা অনুরোধ করেছি তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য, করেনি। তার মানে এই নয় যে আমরা বাকি সবকিছু নিয়ে বসে থাকব।
আমার বার্তা/জেএইচ