ই-পেপার শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

রাজনৈতিক বিবেচনায় চাকরিচ্যুত সামরিক কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৪৫

বিগত সরকারের আমলে সামরিক কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত ও তাদের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে বঞ্চিত সামরিক কর্মকর্তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন হলের ঈগল হলে বৈষম্যমুক্ত সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশ ২.০ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় রুপরেখা শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর সাবেক বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত ও বৈষম্যের মাধ্যমে নিপীড়িত এসব কর্মকর্তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- বঞ্চিত অফিসারদের পুনর্বাসন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান। এছাড়া সামরিক বাহিনীতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে কমিশন গঠন করে সামরিক আইনের সংস্কারের দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে নৌবাহিনীর সাবেক কমান্ডার নেসার আহমেদ জুলিয়াস বলেন, আমরা সবসময়ই সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের আদর্শ মনে করি। আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দেশ গঠনে এবং বিভিন্ন সময়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তবে, দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে সশস্ত্র বাহিনীর নিরপেক্ষতা এবং পেশাদারিত্ব বারবার বিঘ্নিত হয়েছে। এর ফলে আমরা দেখেছি কীভাবে সামরিক আইন ও নিয়মের অপব্যবহার হয়েছে, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে, গুম ও খুন করা হয়েছে এবং বাহিনীর মেধাবী কর্মকর্তাদের অযৌক্তিকভাবে সামরিক আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে বিনা পেনশনে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, আমাদের এই গৌরবময় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বৈষম্যের ক্ষতিকর ঘুনপোকা প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে এবং ধ্বংস করেছে বাহিনীর প্রশাসনিক অবকাঠামো। এই ঘুনপোকা শুধু কর্মকর্তাদের ক্যারিয়ার নষ্ট করেনি, নষ্ট করেছে জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামরিক পেশাদারিত্ব।

তিনি বলেন, সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চর্চা বন্ধ করা এবং তাদের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা অবিচারের শিকার হয়েছেন, তাদের প্রতি সম্মান ও ন্যায়বিচার ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে প্রথমে আমাদের অবশ্যই বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের প্রতি সংঘটিত অন্যায়কে স্বীকার করতে হবে। এই অন্যায়ের স্বীকৃতি দেওয়াই হবে পুনরুদ্ধারের প্রথম পদক্ষেপ।

সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করা, যার মাধ্যমে নির্যাতিত কর্মকর্তাদের বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনা করে ন্যায়বিচার প্রদান করা হবে। তাদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে তারা যেন দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে অবদান রাখতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া নির্যাতিত কর্মকর্তাদের জন্য একটি আর্থিক পুনর্বাসন প্যাকেজ তৈরি করা, যার মাধ্যমে তারা তাদের পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবেন। বৈষম্যের শিকার হওয়া কর্মকর্তাদের সমুদয় পেনশন ফেরত দেওয়া এবং যাদের চাকরির বয়স রয়েছে তাদেরকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা। সবশেষে একটি নিরপেক্ষ সংস্কার কমিশন গঠন করে বিদ্যমান সামরিক আইনে মানবাধিকারসহ অন্যান্য সাংঘরষিক আইনের পরিবর্তন করা, যেন আর কোনো সরকার সামরিক বাহিনীকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে।

তিনি আরও বলেন, গত ৫ সেপ্টেম্বর আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছিলাম, আমাদের বিষয়টি আমলে নেওয়ার জন্য। রাষ্ট্রীয় বাসভবনের সামনে সকালবেলা জনগণ রাস্তায় শুয়ে পড়লে বিকেল বেলায় কমিশন হয়ে যাচ্ছে যাচাই-বাছাই এর জন্য। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, অদ্যাবধি আমরা উনার কাছ থেকে বা বাহিনী প্রধানদের কাছ থেকে কোনোরকম সাড়া পাইনি। ৫ আগস্ট এ স্বাধীনতার পরে যত দুর্নীতিবাজ তারকাচিহ্নিত অফিসারের কীর্তি জাতির সামনে উন্মচিত হয়েছে এখানের ২০০ জন অফিসারের অপরাধকে একসাথে করলেও তার ১০০ ভাগের ১ ভাগ হবে নাহ।

আজ এক মাস পরে আবারো আমরা প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, আমরা দেশপ্রেমিক সামরিক সদস্য। আমাদের কথাগুলো শুনুন, কীভাবে নির্বিচারে আঙুলের বদলে হাত কাটা হয়েছে, হাত এর বদলে মাথা কাটা হয়েছে। আমরা চাই না আমাদের মতো আর কোনো সামরিক সহকর্মীর অবিচার হোক, গুম-খুন হয়ে যাক, রাজনীতি-সরকার-বৈষম্যের শিকার হয়ে কোনো পরিবার রাস্তায় নামুক।

আমার বার্তা/এমই

রাষ্ট্রপতির পর এবার সংবিধান বাতিলের দাবি হাসনাতের

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবি জানানোর পর এবার দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যমান সংবিধান বাতিলের

৩ দিনে পালিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আওয়ামী লীগ সরকারের নেতা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা আগস্টের ৫, ৬ ও ৭

পলিথিন বন্ধে অধিদপ্তর-ম্যাজিস্ট্রেট মিলে টিম হচ্ছে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেছেন, ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন

সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব করেছে জামায়াত

গত তিনটা নির্বাচনে জাতি বঞ্চিত ছিল। আগামী নির্বাচনে যাতে গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উপহার
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাকিস্তানে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৬ সেনা নিহত

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯২৭

৯ অক্টোবর সংস্কার প্রস্তাব জাতির সামনে তুলে ধরবে জামায়াত

অন্তর্বর্তী সরকারকে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির ১৩ প্রস্তাবনা

ডিমের বাজারে অস্থিরতার নেপথ্যের ক্রীড়ানক যারা

সাবেক মন্ত্রীরা কীভাবে পালাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারকে দেখার আহ্বান

রাষ্ট্রপতির পর এবার সংবিধান বাতিলের দাবি হাসনাতের

৩ দিনে পালিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আন্দোলনে আহতদের দেখতে শেখ হাসিনা বার্নে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

বাড্ডায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল পোশাক শ্রমিকের মরদেহ

গজারিয়ায় জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে বহু পরিবার

হাসিনা একদলীয় শাসন কায়েম করতে চেয়েছিলো: জিএম কাদের

পলিথিন বন্ধে অধিদপ্তর-ম্যাজিস্ট্রেট মিলে টিম হচ্ছে

শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণসহ ৭ দাবি

সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাব করেছে জামায়াত

বাংলার সৌরভ জাহাজে আগুন নিয়ন্ত্রণে, সমন্বিত প্রচেষ্টায় প্রাণে বেঁচেছেন ৪৭ নাবিক

সেনাবাহিনী মাঠে আছে, নির্ভয়ে পূজামণ্ডপে যাবেন: সেনাপ্রধান

টাকায় থাকবে না শেখ মুজিবের ছবি, নতুন নোট নকশার প্রস্তাব

মনিটাইজেশন আরও সহজ করছে ফেসবুক

রাজনৈতিক বিবেচনায় চাকরিচ্যুত সামরিক কর্মকর্তাদের পুনর্বহাল দাবি