মানুষের দৈনন্দিন আচরণে এমন কিছু অভ্যাস থাকে যা নিজের অজান্তেই তাকে বিরক্তিকর করে তোলে অন্যের চোখে। এই অভ্যাসগুলো দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকলে শুধু যে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা কমে যায় তা-ই নয়, মানসিক চাপ ও সম্পর্কের অবনতি ঘটতেও সময় লাগে না। আজ আমরা এমন পাঁচটি সাধারণ অথচ ক্ষতিকর অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করছি, যেগুলো পরিবর্তন করা জরুরি—আজই!
শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনা বাতিল করার অভ্যাস
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, অফিস মিটিং বা পারিবারিক কোন অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলে শেষ মুহূর্তে না যাওয়া শুধু বিরক্তিকরই নয়, আপনার ওপর বিশ্বাস হারাতে পারে অন্যরা। এতে সামাজিক ও পেশাগত সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
সবসময় রেগে যাওয়া বা আক্রমণাত্মক হওয়া
অতিরিক্ত রাগ বা কঠোর ভাষার ব্যবহার সম্পর্ককে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এমন আচরণে শুধু অন্যরা নয়, আপনি নিজেও মানসিক চাপে ভুগতে পারেন।
ভিন্নমত সহ্য করতে না পারা
সবাই আপনার মতো ভাববে না—এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ভিন্ন মতামতের প্রতি অসহিষ্ণু হওয়া, অপমান করা বা জোর করে নিজের মত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সম্পর্ক নষ্ট হতে বাধ্য।
নিজের প্রতিজ্ঞা ভাঙা
নিজের সঙ্গে করা প্রতিশ্রুতি বারবার ভাঙলে আপনি নিজের আত্মবিশ্বাস হারাতে পারেন। যেমন: ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করে আবার ধূমপানে ফিরে যাওয়া বা কাজের তালিকা বানিয়েও তা অনুসরণ না করা।
কাজ ফেলে রাখা বা আলসেমি করা
‘পরে করব’ বলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ফেলে রাখার অভ্যাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। এতে শুধু সময় নষ্ট হয় না, বরং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে পরিচিতি তৈরি হয়। বাসার সিঙ্কে থালা জমিয়ে রাখা বা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল কালকে পাঠানোর মানসিকতা বদলানো জরুরি।
উল্লেখ্য, এই অভ্যাসগুলো ছোট মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে এগুলোই আপনার জীবনকে প্রভাবিত করে। সময় থাকতেই সচেতন হোন, বদলে ফেলুন নিজেকে।
আমার বার্তা/এল/এমই