চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আগামী সপ্তাহে দেশটির বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশাপাশি যোগ দেবেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনও। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং জাপানের আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের ৮০তম বার্ষিকী। এই উপলক্ষে বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ আয়োজন করছে চীন। ওই অনুষ্ঠানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ ২৬ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম খুব কম বিদেশ সফর করলেও চীনের বিজয় দিবস উদযাপনে থাকবেন। যা চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এবারের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে প্রথমবারের মতো চীনা সামরিক বাহিনীর নতুন কাঠামো সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরা হবে। সেই সঙ্গে প্রদর্শন করা হতে পারে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। যার মধ্যে থাকতে পারে শত শত যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক ও ড্রোন বিধ্বংসী ব্যবস্থা।
এছাড়া কয়েক হাজার সামরিক সদস্য এই কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন যারা তিয়েনআনমেন স্কয়ারে তাদের সামরিক দক্ষতা ও নৈপুন্য প্রদর্শন করবেন। ৭০ মিনিটের এই মহড়া পর্যবেক্ষণ করবেন স্বয়ং শি জিনপিং। এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন বিদেশি নেতারা।
বেইজিংয়ের কেন্দ্রস্থলে আয়োজিত এই কুচকাওয়াজে শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে কিম জং উনের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আলোকচিত্রীদের জন্য বড় আকর্ষণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেশী দেশ উত্তর কোরিয়ার কয়েক দশকের দীর্ঘ ‘ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বের’ প্রশংসা করেছে এবং বলেছে, তারা একে অপরের ‘আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার’ জন্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
২০১৯ সালে শেষবার বেইজিং গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম। তখন চীন-উত্তর কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। এর আগে ২০১৮ সালে পরপর তিনবার বেইজিং সফর করেন তিনি।
আমার বার্তা/এল/এমই