পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে কিশোরী উর্মী ইসলামকে (১৪) শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ খালে ফেলে দেয়ার অভিযোগে তার বাবা, মা ও ভগ্নিপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে নিহত উর্মীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে গত বুধবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে পরিবারের সদস্যরা উর্মীর গলা টিপে ধরলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ গুমের জন্য বাবা-মা ও ভগ্নিপতি মিলে তা খালে ফেলে দেন।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে কনকদিয়া ইউনিয়নের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কুম্ভখালী খাল থেকে উর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর উর্মীর বাবা নজরুল ইসলাম অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা করেন। তবে পুলিশের একাধিক ইউনিট তদন্তে নেমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে।
জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) আরিফ মুহাম্মদ শাকুর জানান, ‘তদন্তে হত্যার প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসে। এরপর নিহতের বাবা মো. নজরুল ইসলাম, মা আমেনা বেগম ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেনকে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত রাতে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারকের সামনে ১৬৪ ধারায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।’
বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথম থেকেই ঘটনাটি আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়েছিল। তদন্ত চালাতে গিয়ে একপর্যায়ে নিহত কিশোরীর বাবা, মা ও দুলাভাইয়ের সম্পৃক্ততা পাই। পর্যাপ্ত প্রমাণ হাতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার মূল রহস্য উন্মোচন করেন।’
আমার বার্তা/এল/এমই