ইউক্রেনে যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মস্কোকে চাপে ফেলার কৌশলে সমর্থন রয়েছে অধিকাংশ মার্কিনির। রয়টার্স/ইপসোস পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, এভাবে ক্রেমলিনকে নমনীয় করতে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন জরিপে ৬২ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তিনদিন ধরে পরিচালিত ওই জরিপ রোববার (আগস্ট) শেষ হয়। জরিপ অনুযায়ী, রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ এবং ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ৫৮ শতাংশই রাশিয়ার বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর নিষেধাজ্ঞার আরোপের পক্ষে। জরিপটিতে দেশটির এক হাজার ২২ জন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক অংশ নিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি রুশ বাণিজ্য সহযোগীদের ওপর চড়াও হচ্ছেন। ভারতের ওপর এত বেশি চড়া শুল্ক আরোপ করেছেন যা প্রায় নিষেধাজ্ঞার শামিল। চীনের ওপরও কঠোর বিধিনিষেধের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সংঘটিত সবচেয়ে বড় যুদ্ধ। বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধে দুই পক্ষ মিলিয়ে ১০ লাখের বেশি মানুষ হতাহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে হাজারো ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন।
গত ১৫ আগস্ট রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় বৈঠক করেছেন ট্রাম্প। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতিশ্রুত মতো যুদ্ধ এখনও থামেনি। ট্রাম্প ইতোমধ্যেই রাশিয়ার প্রধান আয়ের উৎসে আঘাত করতে ভারতের ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছেন, যার ফলে সব মিলিয়ে দিল্লিকে ৫০ শতাংশ শুল্কের বোঝা বহন করতে হবে।
এছাড়া, মস্কোকে চাপে ফেলে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে চীন, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ রাশিয়ার অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারদের ওপরও বড় অঙ্কের শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আমার বার্তা/জেএইচ