ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ভারতের রাজনৈতিক দলগুলো সর্বদলীয় বৈঠকে বসেছিল। সেখানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তোলেন হামলার সময় সেখানে সেনাবাহিনীর কোনো সদস্য ছিলেন না কেন? এ সময় একই প্রশ্ন করেন বিরোধী দলের অন্যান্য নেতারাও।
তারা জিজ্ঞেস করেন যে বৈসারন তৃণভূমিতে ২৬ জন প্রাণ হারালেন ওই সময় সেনা সদস্যরা কোথায় ছিলেন। জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈসারন তৃণভূমিতে বার্ষিক অমরনাথ যাত্রার আগে সেনাদের পাঠানো হয়। যা জুন মাস থেকে শুরু হয়। ওই সময় সেখানে অমরনাথ যাত্রার আনুষ্ঠানিক রুট খোলা হয় এবং সেনাদের মোতায়েন করা হয়। সরকার আরও জানায়, অমরনাথ যাত্রার তীর্থযাত্রীরা বৈসারন তৃণভূমিতে বিশ্রাম নিয়ে থাকেন। শুধুমাত্র ওই সময়টায় সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়। এই স্থান দিয়ে তীর্থযাত্রীরা অমরনাথ গুহা মন্দিরে যান।
সর্বদলীয় বৈঠকে সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, স্থানীয় টুরিস্ট অপারেটরগুলো গত ২০ এপ্রিল থেকেই সেখানে পর্যটকদের নেওয়া শুরু করেছিল। অমরনাথ যাত্রা শুরু হতে এখনো অনেক সময় বাকি থাকায় সেখানে কোনো সেনা বা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়নি।
বৈঠকে উপস্থিত সরকারের প্রতিনিধিরা জানান, স্থানীয় প্রশাসনও সরকারকে জানায়নি বৈসারন তৃণভূমিতে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হয়েছে। এ কারণে সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো সদস্য ছিল না।
বৈঠকে বিরোধী দলগুলো প্রশ্ন করে ভারত কেন পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত করেছে? কারণ তারা তো পানির প্রবাহ আটকাতে পারবে না। এ ধরনের অবকাঠামো এখনো সেখানে তৈরি করা হয়নি।
জবাবে সরকার জানায়, এই চুক্তি বাতিল করা মূলত একটি প্রতীকি ও কৌশলগত পদক্ষেপ ছিল।
তারা বলে, “সিন্ধু নদ পানি চুক্তি বাতিলের উদ্দেশ্য ছিল সবাইকে দেখানো সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি করা হয়েছে কঠোর বার্তা দিতে। এছাড়া সরকারের ভবিষ্যত পদক্ষেপ কী হবে; এরমাধ্যমে সেটিরও বার্তা দেওয়া হয়েছে।”
সূত্র: এনডিটিভি