বিতর্কিত (সংশোধিত) ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে আন্দোলন করবে অল ইন্ডিয়ান মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (এআইএমপিএলবি)। যতদিন পর্যন্ত এই বিল রহিত না করা হবে ততদিন এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সব ধর্ম, কমিউনিটিভিত্তিক এবং সামাজিক সংগঠনকে এরসঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে তারা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোটের সমালোচনা করে সংস্থাটি বলেছে এ জোটের সঙ্গে থাকা দল জেডি (ইউ), টিডিপি এবং এলজেপি (রামবিলাশ) পার্লামেন্টে ওয়াকফ বিলে সমর্থন জানিয়েছে। এরমাধ্যমে এ দলগুলো তাদের কথিত ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ খুলে দিয়েছে।
‘নিপীড়নমূলক এ সংশোধনী’-র বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ী যা যা করা যায় তার সবাই করা হবে বলে মুসলিমদের আশ্বস্ত করেছে সংস্থাটি। এছাড়া এ বিল নিয়ে কোনো মুসলিমকে হতাশাগ্রস্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বিতর্কিত এ ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের দারস্থই হবে না ভারতীয় মুসলিমরা। এটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রাম অব্যাহত রাখা হবে। পবিত্র ঈদুল আজহার পর তারা আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপের ঘোষণা দেবেন।
ভারতে ২৫টির বেশি ওয়াকফ বোর্ড রয়েছে। যাদের অধীনে আছে ৮৫ হাজার সম্পত্তি এবং ৯ লাখ একর জমি। মুসলিমরা ধর্মীয় ও অন্যান্য উদ্দেশ্যে যেসব জমি বা সম্পদ দান করেন সেগুলো ওয়াকফ হিসেবে পরিচিত। এই জমি বেঁচা বা কেনা যায় না। আর এগুলোর তদারিক করে থাকে মুসলিমরাই। তবে বিতর্তিক ওয়াকফ বিলে ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিমদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মুসলিমদের আশঙ্কা এর মাধ্যমে তাদের সম্পদ কুক্ষিগত করার পরিকল্পনা করছে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার।
সংশোধনী ওয়াকফ বিলটিতে ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার ১২৮ সদস্য পক্ষে ভোট দেন। বিপক্ষে দেন ৯৫ জন। এরপর এটি লোকসভায় ২৮৮/২৩২ ভোটে পাস হয়। সবশেষে রাষ্ট্রপতি দ্রুপদি মুর্মু এটির অনুমোদন দেন। এতে বিতর্কিত এ বিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আইনে পরিণত হয়। -- সূত্র: এনডিটিভি
আমার বার্তা/জেএইচ