ওয়াশিংটন ডিসিতে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো আজ সোমবার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল রোববার সমর্থকদের সঙ্গে একটি সমাবেশে যোগ দেন নির্বাচিত এ প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি বলেন, ক্ষমতা নেওয়ার পরপরই খুব দ্রুততার সঙ্গে বেশ কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করবেন।
ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে অবৈধ অভিবাসীদের গণহারে দেশে ফেরত পাঠানো, পরিবেশগত আইন কমানো এবং সবক্ষেত্রে বৈচিত্র নিশ্চিত করণের যেসব পোগ্রাম আছে সেগুলো বাতিল করবে তারা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প আজ ২০০টিরও বেশি নির্বাহী অ্যাকশনে স্বাক্ষর করবেন। যার মধ্যে থাকবে অসংখ্য নির্বাহী আদেশও। এই আদেশগুলো আইনগতভাবে মেনে চলতে সবাই বাধ্য। এছাড়া তিনি কিছু প্রেসিডেন্সিয়াল ঘোষণাও দেবেন। যেগুলোর কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।
ট্রাম্প বিভিন্ন জনসভা ও বক্তব্যে বলেছিলেন তিনি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কার্যক্রম বৃদ্ধি করবেন, সরকারি এফিসিয়েন্সি বিভাগ খুলবেন, ১৯৬৩ সালে গুপ্তহত্যার শিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির রেকর্ড প্রকাশ করবেন, সেনাবাহিনীকে আয়রন ডোম মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির নির্দেশ দেবেন এবং সেনাবাহিনী থেকে বৈচিত্র, ন্যায় ও অন্তর্ভক্ত (ডিইআই) পোগ্রাম বাতিল করবেন।
এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নারীদের খেলায় অংশগ্রহণেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্বাহী আদেশ জারি করবেন বলে জানান তিনি। এর পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অঙ্গরাজ্যগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প।
তিনি সবচেয়ে বড় যে হুমকিটি দিয়েছেন, সেটি হলো হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাবেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটি করতে লজিস্টিকগত সমস্যার সৃষ্টি হবে। এছাড়া তার এই আদেশ বাস্তবায়নে কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। -- সূত্র: বিবিসি
আমার বার্তা/এমই