যুদ্ধবিরতির পর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ‘পূর্ণ দায়িত্ব’ নিতে প্রস্তুত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফিলিস্তিনের সরকারি জোট ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ)। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট এবং পিএ জোটের বৃহত্তম শরিক ফাতাহর শীর্ষ নেতা মাহমুদ আব্বাসের দপ্তর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট আব্বাসের নির্দেশনা অনুযায়ী গাজা উপত্যকার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে যাবতীয় প্রস্তুতির শেষ করেছে ফিলিস্তিনি সরকার। এই দায়িত্ব পালনের জন্য যেসব প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা টিম প্রয়োজন, সেসব গঠনের কাজও শেষ হয়েছে। ’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ফিরিয়ে আনা, পানি ও বিদ্যুতসহ জরুরি সব পরিষেবা ফের চালু করা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং উপত্যকার ভবন, রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের কাজে নেতৃত্ব দেবে পিএ। ’
গাজা উপত্যকায় এক সময় ফাতাহ ক্ষমতাসীন ছিল। ২০০৬ সালের নির্বাচনে সেখানে হামাস জয়ী হয়। তারপর ২০০৭ সাল শেষ হওয়ার আগেই ফাতাহকে উপত্যকা থেকে বিদায় করে হামাস। বস্তুত ২০০৬ সালের পর আর কোনো নির্বাচন হয়নি গাজায়।
আর যুদ্ধোত্তর শাসনব্যবস্থা নিয়ে বর্তমানে ইসরাইলের কোনও নির্দিষ্ট অবস্থান নেই।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধের পর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হয়েছে হামাস ও ইসরাইল। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা এই চুক্তি অনুমোদন করেছে। আগামী রোববার (১৯ জানুয়ারি) থেকে এ চুক্তি কার্যকর হবে।
চুক্তির শর্ত অনুসারে যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ের স্থায়ীত্ব হবে অন্তত ৪২ দিন, তবে প্রয়োজনে এই মেয়াদ আরও বাড়তে পারে।
আমার বার্তা/এমই