রাশিয়ার সঙ্গে ২০ বছর মেয়াদি কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইরান। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মস্কোতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
গত বছর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর দেশটির ক্ষমতায় আসেন মাসুদ পেজেশকিয়ান। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণের পর চলতি মাসের বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো রাশিয়া সফরে আসেন তিনি। আর এই সফরেই তিনি রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করলেন।
স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় আগামী ২০ বছর প্রতিরক্ষা, সামরিক মহড়া, যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, যুদ্ধজাহাজ তৈরিসহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন খাতে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে দুই দেশ।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়ায় পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আমরা একটি বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠার পথে এগোতে চাই এবং এই পথের একটি উদ্দীপক পদক্ষেপ হলো এই চুক্তি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এই চুক্তির মধ্য দিয়ে দুই দেশ সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করছে বিশেষ করে বাণিজ্যে। ’
অন্যদিকে পুতিন বলেন, ‘এই চুক্তির ফলে শুধু নিরাপত্তা খাতই নয়, বরং অর্থনীতি ও বাণিজ্যখাতেও দুই দেশের সহযোগিতামূলক তৎপরতা অনেক বৃদ্ধি পাবে। কারণ এই কৌশলগত চুক্তির একটি শর্ত হলো— এখন থেকে উভয় দেশের যাবতীয় অর্থনৈতিক আদান-প্রদান দুই দেশের নিজ নিজ মুদ্রায় হবে। ’
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উভয় দেশই তাদের তাদের বাণিজ্য কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। ইউক্রেনীয় এবং পশ্চিমা কর্মকর্তাদের মতে, ইরান ইতোমধ্যেই রাশিয়াকে ‘শাহেদ’ ড্রোন দিয়েছে, যা দিয়ে মস্কো ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ