বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর সংগঠন ব্রিকসের দশম সদস্য দেশ হিসাবে জায়গা করে নিল বিশ্বের চতুর্থ জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়া।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে তারা ব্রিকসের মঞ্চে যোগ দিল।
২০২৫ সালের ব্রিকস প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব পেয়েছে ব্রাজিল। সোমবার তারাই এই ঘোষণা করেছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের সরকার ইন্দোনেশিয়াকে ব্রিকসে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ এবং সবচেয়ে অর্থনীতিকে স্বাগত জানানো হচ্ছে এই মঞ্চে। ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতিতে ইন্দোনেশিয়াও বাকি দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করবে।
ডয়চে ভেলে’ র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের আগস্টে ব্রিকসের সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়াকে সম্পূর্ণভাবে ব্রিকসে শামিল করার প্রস্তাব গৃহীত হয়। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া জানায়, স্থায়ী সরকার তৈরি না হওয়া পর্যন্ত তারা এই মঞ্চে যোগ দেবে না। অবশেষে নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ী সরকার তৈরি হয়েছে সেখানে। তারপরেই ব্রিকসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিল তারা।
২০০৯ সালে ব্রিকস-এর মঞ্চ তৈরি হয়। মঞ্চের প্রধান দেশগুলো হলো ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৪ সালে এই মঞ্চে ঢোকানো হয় ইরান, ইথিওপিয়া, মিশর এবং আরব আমিরাতকে। উন্নত বিশ্বের জি-৭ মঞ্চের আদলেই তৈরি করা হয়েছিল গ্লোবাল সাউথের এই মঞ্চ।
ইন্দোনেশিয়া ঢোকার আগে পর্যন্ত ব্রিকস মঞ্চ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতো। এবার এই সংখ্যা বাড়লো। গোটা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৩৫ শতাংশ আসে ব্রিকস দেশগুলো থেকে।
আমার বার্তা/এমই