মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে সাধারণ ক্ষমা পাচ্ছেন ৫ হাজার ৮৬৪ বন্দী, যার মধ্যে রয়েছেন ১৮০ জন বিদেশি নাগরিক। দেশটির সামরিক বাহিনী তাদের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছর (২০২৪ সাল) মিয়ানমারে ৯ হাজারের বেশি বন্দীকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে জান্তা সরকার। মিয়ানমারের স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপনের অংশ হিসেবে জান্তা সরকারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে জানায়, দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তারা বিভিন্ন কারাগারের ৯ হাজার ৬৫২ বন্দীর জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। ওই বছর সাধারণ ক্ষমা পাওয়াদের মধ্যে ১১৪ জন বিদেশি বন্দীও ছিলেন।
সামরিক অভ্যুত্থানে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বন্দি হওয়া মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে কারাগার থেকে সরিয়ে গৃহবন্দি করা হয়েছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটির ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে আটক করে সেনাবাহিনী। এরপর সেনা নিয়ন্ত্রিত আদালতে তাঁর বিচার হয়। শান্তিতে নোবেল জয়ী ৭৮ বছর বয়সী এই নেত্রী বর্তমানে বিভিন্ন মামলায় ৩৩ বছরের সাজা ভোগ করছেন। অবশ্য সু চি তার বিরুদ্ধে আনা সবগুলো অভিযোগই অস্বীকার করেছেন।
গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি থাকলেও এই সময়ে সু চি কী পরিস্থিতিতে ছিলেন তা নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি জান্তা সরকার। এদিকে, অং সান সু চিকে কারাগার থেকে স্থানান্তরের বিষয়ে মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য না দিলেও তাকে গৃহবন্দি করার বিষয়টিকে ইতিবাচক ইঙ্গিত মনে করা হচ্ছে। কেননা, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত এই নেত্রীকে মুক্তি দিতে দেশটির সেনা সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে।
বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশটিতে অস্থিরতা চলছে। জান্তা সরকার সামরিক অভ্যুত্থানবিরোধীদের দমন করতে শুরু করলে দেশটিজুড়ে সশস্ত্র এক বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে।
আমার বার্তা/জেএইচ