ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ের অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ায় দেশটির সরকার ভেঙে পড়েছে। এদিকে, সরকার পতনের পরও দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর হারের পর বিরোধীরা তার পতদ্যাগের যে দাবি তুলেছে, তাতে সায় দেবেন না তিনি।
ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ফ্রান্সে চলমান রাজনৈতিক সংকট কাটাতে তিনি একজন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দেবেন। তবে তিনি নিজে পদত্যাগ করবেন না। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই তথ্য জানান তিনি।
ফ্রান্সের ইতিহাসে সংসদে অনাস্থা ভোটে হেরে সরকার পতনের ঘটনা সর্বশেষ ঘটেছিল ১৯৬২ সালে। কয়েক দশক পরে দেশটিতে ফের এই পরিস্থিতি তৈরি হলো।
এমন পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, আগামী দিনে আমি একজন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবো, যার দায়িত্ব হবে একটি সাধারণ মানুষের সরকার গঠন করে বাজেট পাস করানো। এদিকে, নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত বার্নিয়ে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছে ফ্রান্সের সরকার।
মাত্র তিন মাস আগেই বার্নিয়েকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। কিন্তু বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সংসদ সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিপুল ভোট দিয়েছেন। বার্নিয়ের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার এই প্রস্তাব বাম ও কট্টর ডানপন্থি দলগুলো উত্থাপন করে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিতর্কিতভাবে বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে সংসদে বিনা ভোটে বাজেট পাস করিয়েছিলেন বার্নিয়ে।
বার্নিয়েকে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রস্তাবটি পাস করতে ২৮৮ ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু ৩৩১ জন সংসদ সদস্য বার্নিয়ের বিষয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন।