দেশে পিঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারত থেকে আমদানি শুরু হলেও বাংলাদেশি আমদানিকারকদের ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবারও দাম বাড়তে শুরু করেছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্য তাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, সবশেষ গত ২৭ মার্চ ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি হয়। এরই মধ্যে অতিবৃষ্টিতে স্থানীয় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজির দাম বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে সাতক্ষীরায় পিঁয়াজের দাম কেজিতে ৮০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
এ অবস্থায় সরকার আমদানির অনুমতি দিলে ১৭ আগস্ট থেকে ভোমরা বন্দরে পিঁয়াজ আসা শুরু হয়। ওইদিন ৭টি ট্রাকে ২০২ মেট্রিক টন পিঁয়াজ আমদানি হয়। এতে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে, বাজারেও কিছুটা প্রভাব পড়ে।
তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভোমরায় ৪৫–৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া আমদানি করা পিঁয়াজ স্থানীয় বাজারে না এসে অধিক লাভে সরাসরি রাজধানী ও দেশের অন্যান্য জেলায় চলে যাচ্ছে। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের এখনও ২০–৩০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, ‘আমদানি শুরু হলে পিঁয়াজের দাম কমেছিল। কিন্তু একটি অলিখিত নির্দেশে আইপি বন্ধ করে দেয়ায় আবারও কেজিপ্রতি দাম ৬৫–৭০ টাকায় পৌঁছেছে। যদি দ্রুত আইপি অনুমোদন দেয়া না হয়, বাজারে ঘাটতি দেখা দেবে এবং দাম আরও বাড়বে।’
কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ দিনে ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১২৬ ট্রাকে মোট ৩ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন পিঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই