আমদানি শুরুর তিন দিনের মাথায় হঠাৎ পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি পারিমট) বন্ধ করে দেওয়ায় এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকেরা। তাঁদের দাবি, হঠাৎ আইপি বন্ধ করে দেওয়ায় বন্দরের ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। পাশাপাশি বাজারে বাড়তে পারে পেঁয়াজের দাম।
আজ বুধবার বেলা ১১টায় হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের পক্ষে এসব অভিযোগ করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক।
লিখিত বক্তব্যে নাজমুল হক বলেন, চলতি মাসের ১৪ তারিখে আইপি উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর হঠাৎ করেই ১৯ তারিখে তা বন্ধ করে দেয় সরকার। এমন সিদ্ধান্তের ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীয়া। ইতিমধ্যে ভারতের অভ্যন্তরে ১৫০টি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। সে পেঁয়াজগুলো আমদানি করতে না পারলে বিপুল আর্থিক ক্ষতি শিকার হবেন তাঁরা। এ ছাড়া দেশের বাজারে আবারও সিন্ডিকেটে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ, যেকোনো সিদ্ধান্তে স্থিতিশীল ও সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ নেওয়ার।
এ সময় তিনি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, যাঁরা ইতিমধ্যে আইপির জন্য আবেদন করে ভারতে পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক লোড করেছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ বিবেচনায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হোক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পেঁয়াজ আমদানিকারক আলহাজ শহীদুল ইসলাম, নুর ইসলাম, ওয়েদুল ইসলাম রিপনসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, ১৭ আগস্ট হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।
আমার বার্তা/এল/এমই