চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন সময়কালে ১৫ কোটি টাকার নিট মুনাফা অর্জন করেছেআইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি , যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫.৩ শতাংশ বেশি। বিনিয়োগ আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে এই অর্জন হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভা শেষে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আইপিডিসি’র অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে দেখা গেছে, ২০২৫ এর জানুয়ারি থেকে জুন-এ তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ পয়সা, যা ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে ছিল ২৫ পয়সা।
কোম্পানিটির ছয় মাসে মোট সুদ আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৯ শতাংশ বা ৪৬৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তবে, একইসময়ে সুদের ব্যয় ২২.৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৯ কোটি টাকা।
আমানতের উচ্চ-খরচ ও গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারাবাহিক নীতিগত সুদহার বাড়ানো এবং অস্থিতিশীল সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের মূল কারণ হিসেবে জানিয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স।
আইপিডিসি জানিয়েছে, সুদের খরচ ২২.৮ শতাংশ বেড়ে ৩৬৯ কোটি টাকা হয়েছে। অন্যদিকে ট্রেজারি বিনিয়োগ ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থেকে আয় ১৫৮.৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৫৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, আমানতের উচ্চ-খরচের কারণে পরিচালন আয় ৪.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০ কোটি ১০ লাখ টাকা। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে পরিচালন আয় দাঁড়িয়েছে ৮৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা গত বছর একই সময়ের তুলনায় ১১.৪ শতাংশ বেশি।
বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮২ কোটি টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ৩.২ শতাংশ বেশি। ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ২০২৫ সালের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা, যা আগের প্রান্তিকের চেয়ে ১৯.৫ শতাংশ বেশি।
কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৫.৩ শতাংশ বেশি। প্রান্তিক ভিত্তিতে (এপ্রিল–জুন ২০২৫) কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকায়, যা গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৩৩.৮ শতাংশ বেশি।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, ‘২০২৫ সালের প্রথমার্ধে আমাদের পারফরম্যান্স একটি স্থিতিশীল ও ভবিষ্যতমুখী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার আমাদের চেষ্টাকে তুলে ধরেছে। প্রতিকূল অর্থনৈতিক পরিবেশ ও ব্যয় বৃদ্ধির মাঝেও আমাদের ট্রেজারি দক্ষতা, ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা এই সাফল্য এনে দিয়েছে বলে আমি মনে করি।’
২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত আইপিডিসি’র ঋণ, লিজ ও বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪৩৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, যা গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় ৬.৮ শতাংশ বেশি। এ সময়ে, ট্রেজারি বিনিয়োগ পোর্টফোলিও ৩৬.৪ শতাংশ বেড়েছে, ঋণ ও অগ্রিম বাবদ বেড়েছে ২.৭ শতাংশ। ২০২৫ সালের জুন শেষে গ্রাহক আমানত বেড়ে ৫ হাজার ৬৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা হয়েছে।
আমার বার্তা/এল/এমই