শরীয়তপুরে পদ্মা সেতুর পূর্বপ্রান্তে অস্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেয়া আড়াই শতাধিক নদীভাঙা পরিবার আবারও আশ্রয়হীনতার মুখে। সম্প্রতি সেতু বিভাগের পক্ষ থেকে ওইসব পরিবারকে এক মাসের মধ্যে তাদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নেয়ার নোটিশ দেয়া হয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন পদ্মার তাণ্ডবে একাধিকবার সর্বস্ব হারানো মানুষগুলো।
এক বছরেরও কম সময় আগে এই পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছিল পদ্মা সেতু কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড এলাকার নদী তীরে। তাদের অনেকেই তিন থেকে পাঁচবার নদীভাঙনের শিকার হয়ে ফসলি জমি, বসতভিটা হারিয়ে পথে বসেছিল। এরপর সরকারের অনুমতিক্রমে ওই এলাকায় অস্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলে তারা। কিন্তু এখন সেই ঠাঁই থেকেও তাদের সরিয়ে দেয়ার নির্দেশনায় আরও একবার অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে পরিবারগুলো।
স্থানীয়দের মতে, এখানে ঘরবাড়ি সরিয়ে দিলে শুধু পরিবারগুলোই নয়, তাদের সন্তানদের শিক্ষাজীবনও হুমকির মুখে পড়বে।
এই অস্থায়ী বসতিতে রয়েছে একটি মাদ্রাসা, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দুইটি মসজিদও।
স্থানীয় শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার বলেন, ‘আমরা চাই মাদ্রাসাটা এখানেই থাকুক। মাদ্রাসা না থাকলে লেখাপড়া করব কোথায়?’
এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুনর্বাসনের আশ্বাস দেয়া হলেও এখনও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
শরীয়তপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ‘পদ্মার ভাঙনে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। তাদের খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত সাড়ে তিন বছরে শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ঘরহারা হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার। তাদের অনেকেই এখনো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
আমার বার্তা/এল/এমই