গুমাই বিলে মাছ ধরতে গিয়ে ২২ কেজি ওজনের বোয়াল মাছ শিকার করেছেন মোকারম নামের এক কৃষক। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিল, যা স্থানীয়ভাবে শষ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত, সেখানে ৩০-০৫-২০২৫ ইং (জুমাবার) একটি ২২ কেজি ওজনের বোয়াল মাছ শিকার করা হয়েছে। চন্দ্রঘোনা আধুর পাড়ার বাসিন্দা মো. মোকারম শুক্রবার দুপুরে এই বিশাল আকৃতির মাছটি শিকার করেন।
মোকারমের ভাতিজা, চন্দ্রঘোনা বিএনপি নেতা মো. রাসেল জানান, মোকারম তার শখের বসে মাছ ধরতে গিয়ে বিলের বৃষ্টির নতুন পানিতে বোয়াল মাছটি দেখতে পান এবং বিশেষ কৌশলে সেটি ধরে ফেলেন। মাছটি বিক্রি না করে, মোকারম ও তার পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মিলে মাছটি ভাগাভাগি করে নেন।
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে গুমাই বিল এবং এর আশেপাশের অঞ্চল যেমন নিশ্চিন্তপুর, আধুরপাড়া এবং নতুন গ্রামের মৌসুমী মাছ শিকারীরা প্রচুর বোয়াল মাছ শিকার করতে সক্ষম হন। এই সময়ে বিলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় বড় আকৃতির মাছ ধরার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
গুমাই বিল এলাকার মাছ শিকারীরা সাধারণত মাছ ধরার জন্য বিশেষ কৌশল এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকেন। স্থানীয়ভাবে এই মাছ ধরার কার্যক্রম একটি সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে পরিচিত। বড় মাছ ধরা পড়লে তা স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে আনন্দের উপলক্ষ হয়ে দাঁড়ায়।
এই মাছ ধরার ঘটনাটি স্থানীয় জনগণের মধ্যে তৎপরতা এবং উৎসাহের সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের বড় মাছের উপস্থিতি এলাকার জলজ পরিবেশের স্বাস্থ্যকর অবস্থা নির্দেশ করে। তবে, তারা সতর্ক করেছেন যে, অতিরিক্ত মাছ ধরা এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে ভবিষ্যতে মাছের প্রাপ্যতা হ্রাস পেতে পারে।
স্থানীয় প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগ মাছ শিকারের উপর নজরদারি বাড়াচ্ছে এবং মাছের প্রজনন মৌসুমে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোগ জলজ জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবিকা নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে।