দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষক সঙ্কটের ফলে ব্যাহত হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা'র ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম।
প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক'সহ মোট ৮ টি পদ শূন্য থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছে দায়িত্বরতরা। ফলে শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় স্থানীয়ভাবে যেমন ঐতিহ্যবাহী তেমনি শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে অভিভাবকদের ভরসাস্থল এই বিদ্যালয়টি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষক সঙ্কটের কারণে হতাশ স্থানীয়রা।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, স্থানীয় ছাত্রদের একমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৮৭১ সালে প্রায় ৩.৭৩ একর জমির উপর শিক্ষানুরাগী রায় বাহাদুর অন্নদা প্রাসাদ রায় তার নাম অনুসারে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৬ সালে এটি জাতীয়করণ হয়। জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকেই স্কুলটিতে শিক্ষক সঙ্কট যেনো পিছু ছাড়ছে না। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এখন খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়েই চলছে পাঠদান।
এ ব্যাপারে সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক দেবব্রত দাস বলেন, স্কুলের শিক্ষক সংখ্যা ১৭ জন থাকার কথা হলেও বর্তমানে রয়েছে মাত্র ৯ জন। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর বারবার জানিয়েও সঙ্কট দূর না হওয়ায় রীতিমতো নিরাশ হয়ে গেছি। আমাদের এখানে ছাত্রসংখ্যা ৫৬৬ জন। তবে শিক্ষার মান ও পরিক্ষার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আমরা এখনো ধরে রেখেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জুলফিকার বলেন,বিদ্যালয়ের শিক্ষক শূন্যতা রয়েছে। শিক্ষক পদায়ন জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মোশারফ হোসাইন বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। সরকারি এ স্কুলের শিক্ষক সঙ্কটের বিষয়টি আমাদের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তবে সরকার শিক্ষক নিয়োগ দিলে এ স্কুলের শিক্ষক সঙ্কট সমস্যা'র সমাধান হবে।