যশোরে শিশু অপহরণ ও অশ্লীল ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে ছড়িয়ে টাকা হাতানো চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাতে শহরের বেজপাড়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (৩ জুলাই) তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার বলভদ্রপুর গ্রামের সুজন কুমার দাসের ছেলে রাজীব কুমার দাস ও মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার নয়া দীঘির পাহাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে বিথী আক্তার।
তারা দু’জনেই যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করতেন। আর ওই বাড়িতেই নানা ধরণের অপকর্ম করতেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল ফোন ও তাতে থাকা পর্নোসাইট পরিচালনার অসংখ্য প্রমাণপত্র উদ্ধার করা হয়।
ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার কাতুলি গ্রামের এক শিশু শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ফুলপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে শিক্ষার্থীর পরিবার। পরবর্তীতে পুলিশের কাছে খবর আসে ওই শিশু যশোরে অবস্থান করছেন। তার প্রেক্ষিতে যশোরের ডিবির এলআইসি টিম অনুসন্ধান শুরু করে। শেষশেষ সোমবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে বেজপাড়ার ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ওই দু’জন গ্রেফতার ও ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা পেশাদার পর্নোগ্রাফি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে নারী ও শিশুদের প্রলোভনের দেখিয়ে অপহরণ করেন। এরপর তাদের দিয়ে পর্নো ভিডিও তৈরি করে প্রচারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন রোমাঞ্চকর বিজ্ঞাপন দিয়ে ঘণ্টা চুক্তিতে ওইসব মেয়েদের কথা বলিয়ে টাকা উপার্জন করেন। তাদের অন্যতম ব্যবসায় হচ্ছে অনলাইনে যৌন কার্যক্রম পরিচালনা করা।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা ফুলপুর থানায় ও যশোরের কোতোয়ালি থানার ডিবির এসআই পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক আরেকটি মামলা করেছেন।
বুধবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আমার বার্তা/জেএইচ
