বকেয়া বেতন ও বোনাসের টাকা পরিশোধের আশ্বাস না পাওয়ায় কারখানা মালিককে অবরুদ্ধ করে আজও বিক্ষোভ করছেন রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া কয়েকশ শ্রমিক। তারা গাজীপুরের সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডে কর্মরত।
রোববার (২২ জুন) সকাল থেকে অবরুদ্ধ মালিককেও বের হতে দিচ্ছেন না তারা। রাতেও সেখানে অবস্থানে ছিলেন কয়েকশ শ্রমিক।
সোমবার (২৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে সেখানে দেখা গেছে, ভবনের সামনের ফটকে ও আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা। শুধু তাই নয়, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে না সরারও ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন হাওলাদার জানিয়েছিলেন, মালিকপক্ষের কাছে সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের ১২০০ শ্রমিকের দুই মাসের ৫ কোটি টাকার বেশি বকেয়া। এর মধ্যে দুটি বোনাসের টাকাও রয়েছে। আর যদি কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে এর পরিমাণ ২০ কোটি টাকার বেশি হবে।
গত ১৬ জুনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার সকাল ১০টায় শ্রম ভবনে মালিক, শ্রমিক ও প্রশাসনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে শ্রমিক প্রতিনিধিরা যথা সময়ে উপস্থিত হলেও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ ছিলেন না। শুধু শিল্প পুলিশের প্রতিনিধি ও কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের প্রতিনিধি আর কারখানা মালিকদের চার জনের মধ্যে শুধু একজন এসেছেন। যেই ব্যাংকের কাছে কারখানার মর্গেজ (বন্ধক) সেই ব্যাংকের কোনও প্রতিনিধিও আসেননি। কথা ছিল ব্যাংক প্রতিনিধি থাকবেন। এরই মধ্যে মালিকদের একটি পক্ষ পাওনা পরিশোধে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাই বৈঠক থেকে বের হয়ে হয়ে আবারও আন্দোলনে শ্রমিকরা।
সোমবার দুপুর পৌনে ১২টায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিউল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গতকাল বৈঠকে পাওনা পরিশোধে কার্যকর কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ার পর থেকেই সেখানে অবস্থান রয়েছেন শ্রমিকরা। রাতেও ছিলেন। এখনও অবরুদ্ধ মালিকপক্ষের একাংশ। আজকের মধ্যে কোনও আশ্বাস না পেলো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আমার বার্তা/জেএইচ