দৈনিক ভোরের সময় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সালমা আক্তার বলেছেন, দাউদকান্দি উপজেলার নূরপুর গ্রামের হক কমিশনারের মেয়ে শাহানাজ আক্তার সুমনা ও তার পুত্র সামির আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে, তারা আমাকে বিভস্ত্র করে ফেলে আমার উপরে সীমাহীন নির্যাতন চালিয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা জানান।
ভোরের সময় এর উদ্যোগে এ মানবন্ধন করেন আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং দাউদকান্দি থানার পুলিশ কর্তৃক, মিথ্যা মামলার শিকার দৈনিক ভোরের সময় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সালমা আক্তার কুমিল্লা দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েদ চৌধুরী, ওসি তদন্ত মোঃ শহিদুল্লাহ প্রধান পিপি, সাব ইন্সপেক্টর হারুনুর রশিদ, সাব ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান খান এবং এস আই রেজাউল, দাউদকান্দির নূরপুর গ্রামের হক কমিশনারের মেয়ে শাহানাজ আক্তার সুমনা ও তার সন্ত্রাসী পুত্র সামিরের দ্বারা নির্যাতিত ও মিথ্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী। নির্যাতিত সাংবাদিক সালমা আক্তারের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দৈনিক ভোরের সময় এর সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএলডিপি’র চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী এম নাজিম উদ্দিন আল আজাদ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাপ এর মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, বিএলডিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম আমানুল্লাহ, প্রবাসী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এইচ এম মনিরুজ্জামান, মানবাধিকার সংগঠক মনিরুল ইসলাম, দৈনিক ভোরের সময় এর রিপোর্টার ফাতেমা আক্তার, জাকিয়া ইসলাম, শাহানাজ আক্তার শানু।
মূল বিষয় উপস্থাপন করেন ক্ষতিগ্রস্থ, নির্যাতিতা দৈনিক ভোরের সময় এর স্টাফ রিপোর্টার সালমা আক্তার।
এসময় সালমা আক্তার বলেন, আমার বাড়ী-ঘর লুটপাট করেছে। আমি নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাউদকান্দিতে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। সেগুলোও তারা লুটপাট করে নিয়ে গেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছিলাম সেই মামলার প্রথম স্বাক্ষী স্বপন সরদারকে সন্ত্রাসী শাহানাজ আক্তার সুমনা গৌরপুর তিতাস থানার ভাতাকান্দি গ্রামে অজ্ঞাত স্থানে চোখ বেধে নিয়ে চারদিন নির্যাতন করেছে, ৭টি নন জুডিশিয়াল ফাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়েছে। ভূয়া কাবিন নামা করিয়ে আমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার কাবিন নামা করেছে, ১২ দিনের মাথায় তালাক দিয়েছে। আজকে আপনাদের সামনে স্বাক্ষী স্বপনকেও হাজির করেছি। আমার সন্তানদের সাথে দেখা করতে পারছি না।
তিনি বলেন, আমার জমজ দুই মেয়ে পঞ্চম শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমার বাবা ক্যান্সারের রোগী, সে বাড়ি থেকে বের হয় না, আমার ভাই আবু সুফিয়ান সিঙ্গাপুরে থাকে। আমাকে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে সেখানে আমার বাবা ও প্রবাসী ভাইকে আসামি করেছে। এ বিষয়ে আমি কুমিল্লা জেলার এসপিসহ সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগ করেছি, কিন্তু আজও কোন প্রতিকার পাইনি। যেসমস্ত পুলিশরা তাকে মদদ দিয়েছিল তারা এখনও বহাল তবিয়তে আছে। বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিচ্ছে। আমি জামিন নিয়ে থাকলেও প্রতি মুহুর্তে আতঙ্কে থাকতে হয়। দাউদকান্তিতে এখনও নিজ বাসা যেতে পারছি না।
সালমা আক্তার আরও বলেন, আমি চাই কুমিল্লা দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি জুনায়েদ চৌধুরী, ওসি তদন্ত মো. শহিদুল্লাহ প্রধান পিপি, সাব ইন্সস্পেক্টর হারুনুর রশিদ, সাব ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান খান এবং এস আই রেজাউল কে দ্রুত অপসারণ করা হোক। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক তদন্ত করে তারা যদি দোষী সাব্যস্ত হয় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমার অপরাধ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসর শাহানাজ আক্তার সুমনার সন্ত্রাসী ছেলে সামিরের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের ছবি আমি আমার ফেইসবুকে আপলোড করলে শত্রুতার সূত্রপাত হয়। সেখান থেকেই তারা আমার বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে।
আমার বিরুদ্ধে আনিত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে আমি প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি দেবো।
আমার বার্তা/এমই