রাজধানীর মোহাম্মদপুর সাদেক খান আড়তের সামনে নাসির বিশ্বাস (৩০) ও মুন্না (২৩)নামে দুই যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার(২০ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে নয়টায় মারা যায় সে। অপরদিকে মুন্নাকে গুরুত্বের আহত অবস্থায় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আলী ইফতেখার হাসান। তিনি জানান মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের
পাশে সাদেক খান আড়তের পাশে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মুন্না(২২) ও নাসির(৩০) নামে দুইজন নিহতের খবর পেয়েছি। মুন্নার নামে মারামারি ও কোপাকুপি সহ ৭/৮টি মামলা রয়েছে। মুন্নার মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে রয়েছে।আর নাসিরের বিষয়ে এখনো তথ্য পায়নি, তবে এতোটুকু জানতে পেরেছি নাসিরকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। তার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কি ঘটনায় এই হত্যাকান্ড দুটি সংঘটিত হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
নিহত নাসিরকে হাসপাতালে নিয়ে বন্ধু আসা শাওন আহমেদ বলেন, আমি আর নাসির দুজনে মটর সাইকেলে যাচ্ছিলাম। আমি সাদেক খান আড়তে যাব এবং সে তিন রাস্তার মোড়ে যাবে। আমাকে বলল ভাই আমাকে একটু তিন রাস্তার মোড়ে নামায় দেন। পরে সাদেকখান আড়তের সামনে থেকে তিন রাস্তার মোড়ে যাওয়ার সময় দেখি ধারালো অস্ত্র নিয়ে একটি গ্রুপ দৌড়াদৌড়ি করছে।পরে পেছন থেকে এলোপাথাড়ি কোপানো শুরু করে নাসিরকে। পরে নাসির মোটরসাইকেল থেকে নেমে দৌড় দিলে তাকে ধরে মাটিতে শুয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং বলে তাকে জবাই করে দে। পরে তাকে জবাই করতে গেলে আমি একজনকে ধরে ফেলি এবং দুজনেই পড়ে যাই। এ সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে উপস্থিত হলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায় নাসির।
শাওন আরও বলেন,আমরা যাওয়ার সময় ওইখানে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া চলছিল। কি কারনে দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছিল সে বিষয়টি বলতে পারি না। নাসির হাজারীবাগ থানার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ছিল পাশাপাশি সে রাজমিস্ত্রির কাজও করতো।
ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এস আই) মাসুদ আলম বলেন, মোহাম্মদপুর থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় এক যুবককে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ইমারজেন্সি সেন্টারে (ওসেক) মারা যায় সে। মরদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
আমার বার্তা/জেএইচ