অপ্রতুল আবাসন, মানহীন খাবার ও গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকাসহ নানা সংকটে ধুঁকছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা বলছেন, আবাসন সংকট সমাধান ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টিসহ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সক্ষম প্রার্থীকেই প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন তারা। আর সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাত্র সংগঠনের আগ্রহী প্রার্থীরা বলছেন, নির্বাচিত হলে নিশ্চিত করা হবে শিক্ষার্থীদের নায্য অধিকার।
ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের বারান্দায় গেলে দেখা যায়, জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ টিকে আছে কয়েকটি লোহার পাইপে ভর করে। যে কোনো সময় রয়েছে ধসে পড়ার আশঙ্কা। অথচ প্রতিদিন এই বারান্দা দিয়েই যাতায়াত করেন শত শত শিক্ষার্থী।
শুধু এসএম হল নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হল এখন ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই রয়েছেন আবাসন সুবিধার বাইরে। একাধিকবার প্রশাসন বরাবর ধরনা দিলেও প্রতিকার না পেয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে শিক্ষার্থীদের।
এছাড়া নোংরা পরিবেশের পাশাপাশি আবাসিক হলের ক্যান্টিন ও ক্যাফেটেরিয়াগুলোতে খাবারের মান নিয়েও আছে প্রশ্ন। একদিকে শিক্ষার্থীদের যেমন পুষ্টির ঘাটতিতে পড়তে হচ্ছে, অন্যদিকে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
৪০ হাজার শিক্ষার্থীর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরির আসন মাত্র ২ হাজার। তাই গবেষণার সুযোগ তো দূরের কথা, বিভাগীয় পড়াশোনা আর চাকরির প্রস্তুতিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে আর্ন্তজাতিক মানদণ্ডে কখনোই কাঙ্ক্ষিত অবস্থানে পৌঁছাতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়টি। ডাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীরা বলছেন, পরীক্ষিত প্রার্থীকেই হল ও কেন্দ্রীয় সংসদে ভোট দেবেন তারা।
আর ছাত্র সংগঠনগুলো বলছে, ডাকসু নির্বাচনে তাদের ইশতেহারে থাকবে এসব সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি। আর নির্বাচিত হলে সিনেটসহ বিভিন্ন ফোরামে আলোচনার মাধ্যমে আদায় করা হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল ও কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভোট।
আমার বার্তা/এল/এমই