ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার, মুজিব হলের পকেট গেটে ককটেল বিস্ফোরণ ও ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাহীনতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
এ সব ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে টিএসসি থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সংগঠনটি। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘মব কালচার’ ও ‘সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে দিনদিন অনিরাপদ করে তুলেছে। এ সময় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখনো শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ নয়। ককটেল বিস্ফোরণ, হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ এসব প্রমাণ করে প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতা।
তিনি আরও বলেন, আমরা বারবার লিখিতভাবে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনের অবহেলার কারণেই এসএম শাহরিয়ার আলম সাম্যের মতো মেধাবী ছাত্রনেতাকে জীবন দিতে হয়েছে। উপাচার্য ও প্রক্টর তাদের পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।
ঢাবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, শিক্ষার্থীরা যখন ক্যাম্পাসমুখী হচ্ছে, তখন ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। আইন বিভাগসহ বিভিন্ন জায়গায় ককটেল রেখে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে।
ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন শাওন বলেন, প্রশাসনের নীরবতা ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণেই সন্ত্রাসীরা সাহস পেয়ে যাচ্ছে। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সজাগ থাকবে, যাতে কোনো সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে দখলে নিতে না পারে।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম আক্তার শুভ, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর আলম ভুঁইয়া ইমন প্রমুখ।
এসময় ছাত্রদল নেতারা অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার, ককটেল ও বিস্ফোরণের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং ক্যাম্পাসে স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।
আমার বার্তা/এমই
