চুয়াডাঙ্গায় যেন আগুনের উত্তাপ ছড়াচ্ছে। মে মাসের শুরুতেই জেলার তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা মাত্র ৩৪ শতাংশ। ফলে গরমে হাঁসফাঁস জনজীবন।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সামনে আরও গরম পড়বে। তারপরও কবে মিলবে স্বস্তির বৃষ্টি-সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে মানুষ।
অসহ্য গরমে দুপুরে চুয়াডাঙ্গার প্রধান সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়। কাঁচাবাজারেও লোকজন কমে গেছে। অনেকেই দিনভর ঘরে থেকে গরম সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
সবচেয়ে বেশি কষ্টে খেটে খাওয়া মানুষ। শহরের রিকশাচালক জয়নাল মিয়া বলেন, সকাল ৯টার পরই রোদে থাকতে পারি না। মাথায় গামছা বেঁধে চালাচ্ছি, তাও মাথা ঝিমঝিম করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, এই গরমে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে যায়। শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে। প্রতিদিনই কয়েকজন গরমজনিত অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে আসছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, এখনই বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।
সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা বাড়ছে। আজকের তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এটি মৃদু থেকে এখন মাঝারি তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আমার বার্তা/এল/এমই