প্রথমার্ধে নেই কোনো গোলের দেখা। দ্বিতীয়ার্ধে গোল হলো মুড়িমুড়কির মতো! তিন মিনিটে দুইবার জালের দেখা পেল ম্যানচেস্টার সিটি। পরের সাত মিনিটেই সেই ব্যবধান ঘুচিয়ে দিল পিএসজি। পরে আরও দুটি গোল করে ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ এক গল্প লিখল ফরাসি দলটি। প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে লুইস এনরিকের দল।
বিরতির পর দুই বদল নিয়ে মাঠে নামে সিটি। জ্যাক গ্রিলিশ আর রিকো লুইস আসেন মাঠে। তার সুফলও পেয়েছে তারা। ইনভার্টেড রোলে রিকো লুইস যেমন গতি বাড়িয়েছেন খেলার। তেমনি জ্যাক গ্রিলিশও ভয় ধরিয়েছেন। সিটি ৩ মিনিটের ঝড়ে এরপর ২ গোল আদায়ও করে নেয়। ইংলিশ তারকার গোলের ৩ মিনিট পর সিটিকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন আর্লিং হালান্ড।
ম্যাচে পিএসজি ফিরতে সময় নিয়েছে ৭ মিনিট। ৫৬ মিনিটে উসমান ডেম্বেলে গোল করেছেন ব্রাডলি বারকোলার পাস থেকে। ৬০ মিনিটে বারকোলা নিজেই বল জালের ঠিকানায় পাঠান। সমতায় ফেরার পর পিএসজি ছিল আরও দুর্দান্ত। পাসিং ফুটবলের সৌন্দর্য্যের পুরোটাই দেখিয়েছে তারা। ৭৮তম মিনিটে সেই ধারায় এগিয়েও যায় তারা।
ডান দিক থেকে ভিতিনিয়ার ফ্রি-কিকে দূরের পোস্টে চমৎকার হেডে গোলটি করেন হোয়াও নেভেস। মরিয়া সিটির জালে শেষ পেরেক ঠোকেন গনসালো রামোস। শুরুতে বাতিল করলেও শেষ পর্যন্ত ভিএআর ঘুরে দেয়া হয় গোলের সিদ্ধান্ত।
এই হারের পর ৭ ম্যাচে ২টি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ২৫তম স্থানে নেমে গেছে ম্যানসিটি। ইউরোপের এই পর্যায়ের ফুটবল থেকেই ছিটকে পড়ার শঙ্কায় এখন তারা। সমান ম্যাচে ৩ জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ২২ নম্বরে উঠেছে পিএসজি। ম্যাচ বাকি আর একটি করে। নিজেদের শেষ ম্যাচে সিটিজেনসদের জেতা ভিন্ন অন্য কোনো উপায় নেই। জেতার পরেও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য ম্যাচের ফলাফলের দিকে।
নতুন আঙ্গিকের ৩৬ দলের আসরে শীর্ষ আট দল সরাসরি যাবে শেষ ষোলোয়। নবম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা দলগুলো দুই লেগের প্লে-অফ খেলবে শেষ ষোলোর বাকি আট দলের মধ্যে জায়গা করে নিতে।
আমার বার্তা/জেএইচ