এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিজ অব দ্য এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (এইউএপি) ২০২৫-এর ৯ম এইউএপি ফোরাম ও নেটওয়ার্কিং এবং ৩৭তম বার্ষিক সম্মেলন সম্প্রতি ফিলিপাইনের ম্যানিলা শহরের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২১-২৩ মে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল 'গ্লোবাল নেটওয়ার্ক : এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে উদ্ভাবনী, বৈচিত্র্যময় ও টেকসই একাডেমিক পরিমণ্ডলের পথ সুগম করা' এবং সম্মেলনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় 'বিশ্ব র্যাংকিং ও রেটিং-এর সাথে প্রতিষ্ঠানসমূহকে সংগতিপূর্ণ করে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য অগ্রসর'। একইসঙ্গে আয়োজিত হয় সংগঠনটির ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠান।
সম্মেলনে ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৭০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। ২০০৩ সাল থেকে এইউএপি-এর সদস্য আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) নিয়মিতভাবে এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে আসছে। এবারের সম্মেলনে এআইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, এআইইউবি’র প্রাক্তন ভাইস-চ্যান্সেলর এবং এইউএপি-এর অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. কারমেন জেড. লামাগনা সংগঠনের ৫৫তম এক্সিকিউটিভ বোর্ড মিটিং-এ অংশগ্রহণ করেন।
২৩ মে আয়োজিত ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে ড. লামাগনা তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে এইউএপি-এর উচ্চশিক্ষা খাতে অবদান, নিজ ভূমিকা এবং এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। এছাড়া, এআইইউবি অফিস অব প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ডেপুটি ডিরেক্টর ও ইকোনমিক্স ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মিস কার্লিন নোয়েল জিটা লামাগনা-এর নেতৃত্বে এআইইউবি প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেয়।
প্রতিনিধি দল বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ১৬টি নতুন পার্টনারশিপ ও ২টি বিদ্যমান চুক্তি নবায়ন করে। এসব সমঝোতা স্মারকের আওতায় একাডেমিক, প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট ও গবেষণামূলক উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি সম্মেলনে আরও ১২টি সহযোগিতামূলক উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয়, যেগুলো পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ভার্চুয়ালের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে উচ্চশিক্ষার অগ্রযাত্রায় এআইইউবি’র এমন অংশগ্রহণ ও অর্জন বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
আমার বার্তা/এল/এমই