বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে উদ্দেশ করে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেছেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কাউকে পাত্তা দেবেন না, তা হবে না।
আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল খন্দকার রাশেদ মাকসুদের উদ্দেশে আরও বলেন, আপনি শেয়ারবাজারের জন্য কী কাজ করছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। অন্যথায় আপনার অপসারণ এখনই চাইবো। আপনাকে মনে রাখতে হবে, আপনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বিএসইসির চেয়ারম্যান হয়েছেন, অথচ আপনার ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই।
শনিবার (১০ মে) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যানের যোগাযোগ দক্ষতা খুবই বাজে। তাকে এ বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন এবং আপডেট জানাচ্ছেন। তারা দেশের উন্নয়নে সংবাদ সম্মেলন করে বলছেন। অথচ বিএসইসির চেয়ারম্যান কোনো আপডেট দেন না। তিনি কী কাজ করছেন এবং তার প্রতিফলন কী, সেগুলো বিনিয়োগকারীদের জানাতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে, রপ্তানি আয়ের ধারা আবার গতি পাচ্ছে এবং বৈদেশিক লেনদেনে ঘাটতি কমে এসে মাত্র ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে। এছাড়া এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বড় পরিশোধ এবং জ্বালানির অপরিশোধিত অর্থ পরিশোধ করার পর রিজার্ভ এখনো ২০ বিলিয়নের বেশি। মুদ্রার মান তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল, আমদানি নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার ফলে উৎপাদন ও বাণিজ্যে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে বাহ্যিক খাতে আমাদের অর্থনীতি বর্তমানে একটি নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করছে।
আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল আরও বলেন, বর্তমানে ডিএসই সূচক ৪ হাজার ৯০০ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এই পতনের পেছনে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত উত্তেজনা (সংঘাত), অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, চলমান উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং পাঁচ বছরের সরকারি ট্রেজারি বন্ডে ১২.৩৯ শতাংশ সুদের হার। যা বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজার থেকে সরকারি বন্ডে টেনে নিচ্ছে। তবুও শেয়ারবাজার এখন ঐতিহাসিকভাবে সস্তা। পিই রেশিও মাত্র ৯.৪১, যা ইঙ্গিত দেয় এটা ভ্যালু ইনভেস্টমেন্টের জন্য দুর্দান্ত সুযোগ।
এনসিপির এই যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, বিএসইসির উদ্যোগ প্রশংসনীয় কিন্তু অসম্পূর্ণ। আমরা স্বীকার করি, গত ৮ মাসে বিএসইসি কিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই মধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে, যা আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে।
আমার বার্তা/এল/এমই