ভাসানী অনুসারী পরিষদ নতুন রাজনৈতিক দল ‘ভাসানী জনশক্তি পার্টি’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ভাসানী অনুসারী পরিষদের ‘জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২৫’ এ সারা দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা সর্বসম্মতভাবে এই ঘোষণা অনুমোদন দেন।
জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে নতুন দলটির গঠনতন্ত্র এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুকে চেয়ারম্যান ও আবু ইউসুফ সেলিমকে মহাসচিব করে ১২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি অনুমোদন করা হয়।
১২১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে একজন চেয়ারম্যান, ২১ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১০ জন ভাইস চেয়ারম্যান, ১ জন মহাসচিব, ৫ জন যুগ্ম মহাসচিব, ৮ জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ৮ জন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন সম্পাদকীয়, সহ-সম্পাদকীয় এবং সদস্য।
জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ন্যূনতম ৩১ সদস্যের কমিটি হবে। কেন্দ্রীয়সহ সব পর্যায়ের কমিটিতে ৩০% নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করার কথাও গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয়সহ সব পর্যায়ের কমিটির মেয়াদ হবে তিন বছর।
২০১১ সালের ২০ জানুয়ারি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারীরা ‘ভাসানী অনুসারী পরিষদ’ গঠন করে এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। পরবর্তীতে তারা ২০২২ সালের ৪ জুন রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ শুরু করে এবং সংগঠনটি ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। তৎকালীন সাত দলের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ গঠনেও দলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে গণঅধিকার পরিষদ বেরিয়ে গেলে গণতন্ত্র মঞ্চ ছয়দলীয় জোটে পরিণত হয়।
নতুন রাজনৈতিক দল ‘ভাসানী জনশক্তি পার্টি’র মূলনীতি হচ্ছে- গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সাম্য ও সামাজিক ন্যায়বিচার।
সকালে ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে এই জাতীয় প্রতিনিধি সভা শুরু হয়। সারা দেশের সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশ নেন। সভায় নতুন দলের গঠনতন্ত্র ও কেন্দ্রীয় কমিটি সংগঠনটির প্রতিনিধিদের সামনে উপস্থাপন করলে প্রতিনিধিরা হাত তুলে সর্বসম্মতভাবে তা অনুমোদন করে।
নতুন দলটি তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে বলেছে, বাঙালি জাতির ইতিহাসের মহান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সংগ্রামী ইতিহাস-ঐতিহ্য ধারণ এবং তার শিক্ষা-দর্শন, সমাজ ও রাষ্ট্র চিন্তার আলোকে জাতীয় জীবনে স্বাধীনতার ঘোষণা ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠা করে সুখী, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাংলাদেশ গঠন করবে।
আমার বার্তা/এমই