ই-পেপার শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

বাজেটে আমদানি-রপ্তানি শুল্ক-কর

কমল চৌধুরী:
০৬ জুলাই ২০২৪, ১৪:৪৯

উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ । কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে ক্রমান্বয়ে শিল্পোন্নয়ন ভিত্তিক অর্থনীতিতে রুপান্তর,ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের উদ্দেশ্যে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী তৈরি এবং শিল্পখাতকে উপযোগী করে গড়ে তুলতে এবং উন্নয়নকে একটি শক্ত কাঠামোর উপর দাঁড় করানোর জন্য প্রয়োজন অব্যাহত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। এ উদ্দেশ্যে একদিকে যেমন রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে হবে অন্যদিকে দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণ,রপ্তানী পণ্যের বহুমুখীকরণে সহায়তা, দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগীতা সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ ও ”মেইড ইন বাংলাদেশ” স্লোগানকে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কর নীতি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।একই সাথে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসেবে আমদানি পর্যায়ের বিদ্যমান বিভিন্ন শুল্ক-হার ক্রমান্বয়ে হ্রাস করার প্রাক্রয়া অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি ব্যক্তি,প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি পর্যায়ে শুল্ক অব্যাহতি ভোগ করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। বিদ্যমান এ সকল বাস্তবতায় উল্লিখিত উদ্দেশ্যসমূহ অর্জনে এবং দেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে অর্থায়নের উদ্দেশ্যে রাজস্ব আয় বৃদ্ধিসহ অন্যান্য প্রস্তাবসমূহ বিস্তারিত আলোচনা করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে আমদানি শুল্ক-কর বিষয়ে প্রণীত প্রস্তাব অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী গত ৩০ জুন সংসদে উপস্থাপন করেন এবং ৩০ জুন বাজেট পাশ হয়েছে।

নতুন কাস্টমস আইন,২০২৩ এর কার্যকারিতা:

আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণের মাধ্যমে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা সমূহের সহায়তায় বিশ^ব্যাপি কাস্টমস ব্যবস্থাপনায় অনুসৃত কাস্টমস সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চাসমূহ অর্ন্ত্ভুক্ত করে ইংরেজী ভাষায় প্রণীত কাস্টমস অ্যাক্ট,১৯৬৯ এর স্থলে বাংলায় আধুনিক ও যুগোপযোগী কাস্টমস আইন,২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে।২০২৪-২৫ অর্থবছর হতে নতুন কাস্টমস আইন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ৬ জুন ২০২৪ হতে কাস্টমস আইন ,২০২৩ কার্যকর করা হয়েছে যা ইতোমধ্যে গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষনা করা হয়েছে।

আমদানি পর্যাযের শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত প্রস্তাবসমূহ প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিম্নের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে:

দেশীয় শিল্পের জন্য বিদ্যমান নীতি সহায়তা যৌক্তিকীকরণের মাধ্যমে এর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নতুন সম্ভাবনাময় উৎপাদনমুখী খাতকে চিহ্নিত করে এর বিকাশে সহায়তা প্রদান;আগামী ২০২৬ সাল নাগাদ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন এবং উত্তরণ পরবর্তী সুযোগ কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ;ব্যক্তি,প্রতিষ্ঠান ও সরকার তথা সকল পর্যায়ে কর অব্যাহতি সুবিধা ভোগ করার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসা;দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রপ্তানীমুখী শিল্পকে সহায়তা প্রদান এবং বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়; পণ্য খালাসে জটিলতা নিরসন এবং প্রক্রিয়া সহজীকরণ; এবংরাজস্ব আয় বৃদ্ধি।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিদ্যমান ০৬(ছয়) স্তর (০%,১%,৫%,১০%,১৫%,ও ২৫%) বিশিষ্ট আমদানি শুল্ক কাঠামো, সর্বোচ্চ আমদানি শুল্কহার (২৫%) আরোপিত আছে এমন প্রায় সকল পণ্যের উপর আবশ্যিকভাবে বিদ্যমান ৩% রেগুলেটরি ডিউটি এবং আমদানি পর্যায়ে বিদ্যমান ১২ স্তর বিশিষ্ট সম্পূরক শুল্কহার (১০%,২০%,৩০%,৪৫%,৬০%,১০০% ১৫০%,২০০%, ২৫০%,৩০০%, ৩৫০%, এবং ৫০০% )আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেছেন সংসদে অর্থমন্ত্রী এবং তা পাশ ও হয়েছে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী, প্রধান প্রধান খাদ্যদ্রব্য,সার, বীজ, জীবন রক্ষাকারী ঔষধ এবং আরো কতিপয় শিল্পের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্কহার অপরিবর্তিত রেখেছেন।

স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ এবং ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণ :

স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পাশাপাশি ওয়াল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনএর বিধিবিধানের সাথে সংগতি রক্ষার জন্য কিছু ক্ষেত্রে প্রথম তফষিলে বিদ্যমান কতিপয় পণ্যের শুল্কহার যৌক্তিকীকরণ করতে হবে। ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণের অন্যতম শর্ত হল বর্তমানে বলবৎ নুন্যতম ট্যারিফ মূল্য এবং রেগুলেটরি ডিউটি ও সম্পূরক শুল্ক পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করা।এছাড়া ডব্লিউ টিওতে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের অংশ হিসিবে যে সকল পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ট্যারিফ ডব্লিউটিও তে দাখিলকৃত ট্যারিফ সিডিউলএ উল্লিখিত হার অতিক্রম করেছে, সে সকল পণ্যের ট্যারিফও পর্যায়ক্রমে বাউন্ড ট্যারিফএর মধ্যে আনতে হবে।

নূন্যতম মূল্য যৌক্তিকীকরণ:

ট্যারিফ যৌক্তিকীকরণের অংশ হিসেবে বিগত অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে-১০টি হেডিং সংশ্লিষ্ট পণ্যের ন্যূনতম মূল্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৫টি হেডিং সংশ্লিষ্ট পণ্যের ন্যূনতম মূল্য যৌক্তিকীকরণ করা হয়েছে এবং ৩টি হেডিং সংশ্লিষ্ট পণ্যের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।সামাজিকভাবে অনভিপ্রেত নয় এবং বিলাসী পণ্য নয়,নির্বাচিত পণ্যের আমদানি দেশর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর চাপ তৈরি করবেনা,পণ্যসমূহ অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেশে উৎপাদিত হয়না,শুল্ক হ্রাস সত্ত্বেও দেশীয় উৎপাদিত পণ্য আমদানিকৃত সমরূপ পণ্যের সাথে প্রতিযোগীতা করতে সক্ষম হবে,সংস্কৃতিগত বা বিভিন্ন কারণে নির্বাচিত পণ্যসমূহের দেশে চাহিদা নেই ইত্যাদি।১৯টি পণ্যের সাপ্লিমেনটরি ডিউটি প্রত্যাহার এবং ১৭২টি পণ্যের সাপ্লিমেন্টরি ডিউটি হ্রাস করা হয়েছেএবং ৯১টি পণ্যের রেগুলেটরি ডিউটি প্রত্যাহার হয়েছে।

কৃষিখাত : কৃষি আমাদের অগ্রাধীকারপ্রাপ্ত খাত। কৃষিখাতের প্রধান উপকরণসমূহ,বিশেষ করে সার, বীজ, কীটনাশক ইত্যাদি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রধান খাদ্যদ্রব্যের আমদানিতে বিদ্যমান শুল্কহার অপরিবর্তিত রাখা এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে প্রযোজ্য শুল্ক করভার স্থিতবস্থায় রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে কাজু বাদাম উৎপাদিত হচ্ছে এবং উৎপাদিত কাজু বাদামকে প্রক্রিয়াজাতকরণের নিমিত্ত কারখানা গড়ে উঠেছে। তাই দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণের জন্য খোসা ছাড়ানো কাজু বাদাম এর আমদানিতে ৫% আমদানি শুল্ক এবং ১০% রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করা হয়েছে।

এসেপটিক প্যাক নামীয় পণ্যটি তরল দুধ ও ফলের জুস বিপননে প্যাকিং সামগ্রি হিসেবে ব্যবহৃত হয় । উক্ত পণ্যটি রোল বা আয়তাকার সিট আকারে এবং ফোল্ডিং কার্টুন, বক্স বা কেস আকারে আমদানির ক্ষেত্রে মোট করভারে পার্থক্য আছে যা যৌক্তিক নয়। তাই একই উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয় বিধায় উভয় আকারে আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কহারের সমতা আনয়নের লক্ষ্যে উভয় ক্ষেত্রে অনুরুপ আমদানি শুল্ক অর্থাৎ ১০% নির্ধারণ করে মোট করভার ৩৭% করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যখাত : স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার প্রদান করে বিগত বছরগুলোর মত এবারও কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ঔষধ,চিকিৎসা সামগ্রী ও স্বা¯থ্য সুরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

কিডনি রোগীর ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত হয় এমন দুটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ হচ্ছে ডায়ালাইসিস ফিল্টার এবং ডায়ালাইসিস সার্কিট।উক্ত পণ্য দুটির আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০%হতে হ্রাস করে ১% নির্ধারণ করা হয়েছে। স্পাইনাল নিডলপণ্যটির সুনির্দিষ্ট কোনো এইচ এস কোড না থাকায় আমদানি পর্যায়ে শুল্কায়নে নতুন কোডসৃজন করে ৫% আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।

চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করার ক্ষেত্রে সরকারের অব্যাহত নীতি সহায়তার অংশ হিসেবে এ্যাম্বুলেন্স হ্রাসকৃত শুল্কে আমদানির সুবিধা দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমদানিতব্য এ্যাম্বুলেন্স এর ন্যূনতম দৈর্ঘ্য নির্ধারিত না থাকায় শুল্কায়নে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। উক্ত জাটলতা নিরসনে আমদানির ক্ষেত্রে এ্যাম্বুলেন্স এর প্যাঞ্জোর কেবিন এর ন্যূনতম দৈর্ঘ্য ৯ ফুট নিরুপণ করে দেয়া যুক্তিযুক্ত। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট এইচএস কোডএর বর্ণনা পরিবর্তন করা হয়েছে।

এছাড়াও ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা আরো সুলভ করার উদ্দেশ্যে ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ঔষধ প্রস্তুতে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে কতিপয় নতুন কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব পাশ হয়েছে। ঔষধ এর কাঁচামাল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান (এপিআই) কর্তৃক কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে কতিপয় নতুন কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব পাশ হয়েছে।

ঔষধ উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে এজিথরোমাইসিননামক পণ্যটি সংযোজনের সুপারিশ পাশ হয়েছে। একই সাথে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনটি ২০১৪ সালে জারি বিধায় বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে নতুন করা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি প্রতি বছরই আশংকাজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। ডেঙ্গু কিট আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের জন্য ইতোপূর্বে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল যা ২০১৯ সালে বাতিল হয়ে যায়।তাই,২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে রেয়াতি সুবিধায় ডেঙ্গু কিট আমদানির লক্ষ্যে একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারী করার প্রস্তাব পাশ হয়েছে।

রেফারেল হাসপাতাল কর্তৃক চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক সুবিধা দীর্ঘদিন ধরে প্রদান করা হচ্ছে। সার্বিক প্রেক্ষাপটে উক্ত সুবিধা কিছুটা হ্রাস করে আমদানি শুল্ক ১% এর পরিবর্তে ১০% ধার্য করার প্রস্তাব পাশ হয়েছে।

শিল্পখাত : কর্মসংস্থান সৃজন ও দেশি- বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে শিল্প খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় শিল্পখাতের পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ আবশ্যক । বিনিয়োগ বৃদ্ধি,যথাযথ প্রতিরক্ষণের মাধ্যমে বিদ্যমান শিল্পের বহুমুখী প্রসারের কৌশল হিসেবে বিভিন্ন উপখাতের জন্য শুল্ক-কর হ্রাস /বৃদ্ধির প্রস্তাব পাশ হয়েছে।

পুনঃমোড়কজাতকরণ শিল্প: গুঁড়াদুধ আমদানির ক্ষেত্রে আড়াই কেজি পর্যন্ত প্যাকে এবং বাল্ক আকারে আমদানির ক্ষেত্রে মোট করভারের পার্থক্য অনেক বেশি থাকায় স্থানীয়ভাবে প্যাকেটকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ ভোক্তার নিকট থেকে অযৌক্তিক পরিমান মুনাফা অর্জন করছে। গুঁড়া দুধের মূল্য যৌক্তিকীকরণের অংশ হিসেবে আড়াই কেজি পর্যন্ত প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধের উপর বিদ্যমান ২০% সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতদসত্ত্বেও আমদানির সাথে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মোট করভারের পার্থক্য বা প্রতিরক্ষণ থাকবে ২১% যা দেশীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণে কোন অন্তরায় ঘটাবেনা।

মিথাইল এলকোহল বিভিন্ন শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল। শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার্য মিথানল সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভর। বর্তমানে খুচরা ও বাল্ক আকারে আমদানির উপর একই হারে আমদানি শুল্ক বিদ্যমান থাকায় বাল্ক আকারে পণ্য আমদানি করে স্থানীয়ভাবে রি-প্যাকিং এর ক্ষেত্রে কোন প্রণোদনা বলবৎ নেই। তাই দেশীয় পুনঃপ্যাকেজিং শিল্পকে উৎসাহিত করতে বাল্ক আকারে মিথানল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ৫% এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ১০% নির্ধারণ করা হয়েছে।

কার্পেট উৎপাদনকারী শিল্প : দেশে বর্তমানে কার্পেট তৈরির শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কার্পেট উৎপাদনের একটি অন্যতম মূল কাঁচামাল হচ্ছে পলিপ্রপাইলিন আর্ন। পণ্যটি দেশে উৎপাদিত হয়না বিধায় দেশের কার্পেট উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ আলোচ্য পণ্যটির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে আমদানি নির্ভর । এমতাবস্থায় দেশে নতুন গড়ে উঠা এই শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে পণ্যটির আমদানি শুল্ক ১০% হতে হ্রাস করে ৫% করা হয়েছে।

ফেরো এলয় উৎপাদনকারী শিল্প : দেশে বর্তমানে ফেরো এলয় জাতীয় পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। রড,বার,এ্যাংগেল ইত্যাদি পণ্য উৎপাদনকালে তা পরিশোধন করার কাজে এই পণ্য ব্যবহার হয়। ফেরো এলয় নামীয় পণ্য উৎপাদনে একটি অপরিহার্য কাঁচামাল হচ্ছে ম্যাংগানিজ। উক্ত পণ্য আমদানিতে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক ১০%। দেশীয় শিল্পকে সহায়তা প্রদানের নিমিত্ত অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল ম্যাংগানিজ আমদানিতে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক ১০% হতে হ্রাস করে ৫% নির্ধারণ করা হয়েছে।

এলআরপিসি ওয়্যারউৎপাদনকারী শিল্প : বর্তমানে দেশে বিভিন্ন ধরনের উৎকৃষ্ট মানের এবং নন-এ্যালয় স্টিলের তার উৎপাদিত হচ্ছে যা ব্যবহৃত হলে বৈদেশিক মুদ্রার উপর চাপ কমবে।ফলে,এ জাতীয় পণ্যের আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর বৃদ্ধির মাধ্যমে আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা যেতে পারে যা দেশীয় শিল্পকে অধিকতর বিকাশে সহযোগিতা করবে। বর্ণিত অবস্থায় এলআরপিসি ওয়ার এর আমদানি শুল্ক ১০% হতে বৃদ্ধি করে ১৫% নির্ধারণ করা হয়েছে।

এয়ারকন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেটর উৎপাদনকারী শিল্প : এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন অনুসারে রেয়াতি হারে ম্প্রেসার আমদানি করতে পারে।এয়ারকন্ডিশনার স্বল্প আয়ের জনগণ ব্যবহার করেনা বিধায় উক্ত কম্প্রেসর এর রেয়াতি হার প্রত্যাহার করার সুপারিশ করছি। এছাড়া বর্র্তমানে দেশে রেফ্রিজারেটর উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কম্প্রেসার উৎপাদন হয় বিধায় বেকওয়ার্ড লিংকেজ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে রেফ্রিজারেটর শিল্পে ব্যবহৃত কম্প্রেসর আমদানিতে বিদ্যমান রেয়াতি হার প্রত্যাহার হয়েছে।

রাজস্ব প্রদানে সক্ষমতা বিবেচনায় স্বার্থে এয়ারকন্ডিশনার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত বিভিন্ন প্রকারস্টিল সিটএর আমদানি শুল্ক ৫% হতে বৃদ্ধি করে ১০% নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া একই প্রজ্ঞাপনে যে সকল পণ্যে আমদানি শুল্ক ১০% নির্ধারিত রয়েছে উক্ত পণ্যসমূহের আমদানি শুল্ক ১০% হতে বৃদ্ধি করে ১৫% নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া যথাযথ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যে রেফ্রিজারেটর ও এয়ার কন্ডিশনারে ব্যবহৃত কম্প্রেসর আমদানিতে ন্যূনতম মূল্য ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে ০২ লক্ষ বিটিইউ এর অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ারকন্ডিশনার আমদানিতে ১% আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য। উক্ত সীমা বৃদ্ধি করে ০৩(তিন)লক্ষ বিটিইউ নির্ধাারণ করা হয়েছে অর্থাৎ০৩(তিন) লক্ষ বিটিইউ এরঅধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এয়ারকন্ডিশনার আমদানিতে ১% আমদানি শুল্ক ধার্য করা হয়েছে।

পানি পরশোধন যন্ত্র উৎপাদনকারী শিল্প : দেশে বর্তমানে গৃহস্থালীতে ব্যবহারযোগ্য পানি পরিশোধন যন্ত্র উৎপাদিত হচ্ছে।এমতাবস্থায় দেশীয় শিল্পের সুরক্ষার জন্য বর্ণিত যন্ত্রের আমদানি শুল্ক ১০% হতে বৃদ্ধি করে ১৫% করা হয়েছে।

সুইচ সকেট উৎপাদনকারী শিল্প : বর্তমানে দেশে মানসম্মত সুইচ সকেট উৎপাদিত হচ্ছে। কিন্তু সম্পূর্ণ তৈরি সুইচ সকেট এর ন্যূনতম আমদানি মূল্য প্রকৃত আন্তর্জাতিক মূল্যের চেয়ে কম নির্ধারিত থাকায় স্থানীয় শিল্প অসম প্রতিযোগীতার সম্মুখীন হচ্ছে।তাই সম্পূর্ণ সুইচ,সম্পূর্ণ সকেট এবং এগুলির পার্টসের ন্যূনতম মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ইলেকট্রিক মোটর উৎপাদনকারী শিল্প : বর্তমানে দেশে ইলেকট্রিক মোটর তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। ইলেকট্রিক মোটর বিভিন্ন শিল্পে মধ্যবর্তী পণ্য হিসেবে ভ্যবহৃত হয়। তাই উক্ত খাতের শিল্পকে প্রণোদনা প্রদানের লক্ষ্যে তাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদান করে একটি নতুন প্রজ্ঞাপন জারী করা হয়েছে। এছাড়া উক্ত জারীতব্য প্রজ্ঞাপনটিকে যথাযথভাবে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন এবং বাংলাদেশ কাস্টমস ট্যারিফ এ প্রাসংগিক সংশোধন করা হয়েছে।

স্থানীয় সেলুলার ফোন উৎপাদনকারী শিল্প : বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোন বা সেলুলার ফোন উৎপাদন/সংযোজনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশসমূহ আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এবং প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার ফলে নিয়ত পরিবর্তনশীল। ফলে দেশে উৎপাদিত ফোনে নতুন ফিচার সংযোজনের স্বার্থে প্রতিষ্ঠানসমূহের নতুন নতুন উপকরণ বা যন্ত্রাংশ আমদানির প্রয়োজন হয়।এ প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যে নতুন উদ্ভাবিত কতিপয় পণ্যকে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনে সংযোজন এবং বিদ্যমান কিছু পণ্যের বর্ণনা সংশোধন করা হয়েছে।

মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভ্যবহৃত উপকরণ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে জারীকৃত বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতার মেয়াদ ৩০ জুন,২০২৪ পর্যন্ত বহাল রয়েছে।দেশীয় উৎপাদনকারী এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রদত্ত সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য উক্ত প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতার মেয়াদ ৩০ জুন,২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মোটর সাইকেল উৎপাদনকারী শিল্প : বর্তমানে দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী কিছু প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিন সংযোজন করছে। এ ধরনের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ প্রদানের উদ্দেশ্যে মোটর সাইকেল এর পার্টসসমূহকে মোটর সাইকেল প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানরে উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উল্লিখিত পণ্যসমূহের আমদানির বিপরীতে আরোপণীয় ৩(তিন) শতাংশের অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক এবং সমুদয় রেগুলেটরি ডিউটি ও সম্পূরক শুল্ক হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। তবে,২৫০ সিসির ঊর্ধ্বসীমার ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর সাইকেলের জন্য উক্ত যন্ত্রাংশগুলি আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০(দশ) শতাংশ ধার্য করা হয়েছে।একই সাথে বাংলাদেশ কাষ্টমস ট্যারিফ এ মোটর সাইকেলের ইঞ্জন এর যন্ত্রাংশের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৫% হতে বৃদ্ধি করে ১৫% ধার্য করা হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে এটিএম এবং সিসি ক্যামেরা উৎপাদনকারী শিল্প : এটিএম এবং সিসি ক্যামেরা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ঠ বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনটি জুন ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ রাখার লক্ষ্যে তা সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে।

টেক্সটাইল শিল্প : টেক্সটাইল শিল্পের যন্ত্রপাতি,উপকরণকাঁচামাল আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনেবিটিএমএ এর সুপারিশ অনুযায়ী কতিপয় পণ্যকে উক্ত প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

জেনারেটর সংযোজন এবং

উৎপাদনকারী শিল্প : জেনারেটর সংযোজন এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত উপকরণের ওপর প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক যৌক্তিকীকরণ করে ০% এর পরিবর্তে ১% নির্ধারণ করা হয়েছে।

এলইডি ল্যাম্প এবং এনার্জি সেভিং ল্যাম্প উৎপাদনকারী শিল্প : এলইডি ল্যাম্প এবং এনার্জি সেভিং ল্যাম্প উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত উপকরণের ওপর প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক যৌক্তিকীকরণ করে ০% এর পরিবর্তে ১% নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সাথে উক্ত প্রজ্ঞাপনের টেবিল-১ এ উল্লিখিত কতিপয় মধ্যবর্তী বা সম্পূর্ণরুপে প্রস্তুকৃত পণ্য উপকরণ সংশ্লিষ্ট এই প্রজ্ঞাপন হতে বাদ দেয়া এবং প্রজ্ঞাপনটি জুন ২০২৬ পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে।

অন্যান্য শিল্প : বর্তমান বাস্তবতায় বিভিন্ন কারণে দেশীয় বিমান পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো বিদেশি সংস্থাগুলোর তুলনায় প্রতিযোগীতায় ক্রমশ পিছিয়ে যাছ্ছে। এমতাবস্থায়,এভিয়েশন খাতের উত্তরণ কল্পে এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিবেচনায় এয়ারক্রাফট ইঞ্জিন ও প্রপেলারের ওপর আমদানি পর্যায়ে প্রযোজ্য মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিভিন্ন শিল্পের একটি অত্যাবশ্যকীয় মূলধনী যন্ত্রপাতি হচ্ছেঈযরষষবৎ। এ সকল ঈযরষষবৎ এর আমদানির ক্ষেত্রে কিছুটা উচ্চ করভার প্রযোজ্য রয়েছে যা শিল্পায়নের অন্তরায়।বর্ণিত অবস্থায় শিল্পে বহুল ব্যবহৃত বিবেচনায় ৫০ টন বা তদুর্ধ্ব ক্ষমতার চিলারআমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ৫% ও অগ্রিম আয়কর বাদে অন্য সকল কর মওকুফ করা হয়েছে।

বর্তমান সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ স্লোগান বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ল্যাপটপ পণ্যটি দেশীয় ভোক্তাদের নিকট সহজলভ্য করতে এবং নকলটি ক্রয়ের মাধ্যমে প্রতারনার হাত থেকে ক্রেতাদের রক্ষা করতে ল্যাপটপ এর আমদানি শুল্ক ৫% হতে বৃদ্ধি করে ১০% করা হয়েছে।একই সাথে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত মূসক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে সর্বমোট করভার ৩১% হতে কমে ২০.৫০% এ গিয়ে দাঁড়াবে।

আমদানিকৃত সাধারণ কিলোওয়াট মিটার এবং প্রি-পেইড কিলোওয়াট আওয়ার মিটার –এর মাঝে মোট করভারে পার্থক্য বিদ্যমান যা সমান হওয়া যৌক্তিক ।সে বিবেচনায় প্রি-পেইড কিলোওয়াট আওয়ার মিটার ও অন্যান্য ইলেকট্রিক মিটার এর আমদানি শুল্ক ২৫% এবং প্রি-পেইড কিলোওয়াট মিটার পার্টস ও অন্যান্য ইলেকট্রিক মিটার এর পার্টস এর আমদানি শুল্ক ১৫% ধার্য করা হয়েছে।

পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য সংক্রান্ত:

বর্তমানে দেশে গাড়ি এবং আধুনিক প্রযুক্তির মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচুর পরিমানে সিনথেটিক এবং মিনারেল লুব্রিকেটিং ওয়েলের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।এরুপ অয়েলের আর্ন্তজাতিক বাজার মূল্য অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও শুল্কায়ন পর্যায়ে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারিত না থাকায় মূল্য নির্ধারণে জটিলতা দেখা যায় ।এমতাবস্থায়,আর্ন্তজাতিক বাজার মূল্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সিনথেটিক লুব্রিকেটিং অয়েল,মিনারেল লুব্রিকেটিং অয়েল এবং এগুলি তৈরির কাঁচামাল বেইস অয়েলের ন্যূনতম মূল্য নির্ধাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সাথে সংগতি রেখে ফার্নেস অয়েলের ন্যূনতম আমদানি মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৪৮০.০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

কতিপয় প্রজ্ঞাপন ও আদশ জারি,সংশোধন ও বাতিল:

মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন এসআরও নং ১১৮/২০২২ এর সংশোধন:

শিল্পায়নের বিকাশের লক্ষ্যে শিল্প কারখানার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির উপর রেয়াতি সুবিধা প্রদান করার জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত এস.আর .ও. জারী করা হয়েছে। শিল্পায়নের অগ্রগতির সংগে এ প্রজ্ঞাপনের অন্তর্ভক্ত অনেক যন্ত্রপাতি অপ্রেয়োজনীয় হয়ে পড়ে।আবার নতুন যন্ত্রপাতি অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজন হয়।এ প্রেক্ষাপটে মূলধনী যন্ত্রপাতি নয় তথাপি প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এমন কিছু যন্ত্রপাতি,যানবাহন ইত্যাদি প্রজ্ঞাপন হতে বিলুপ্ত করা হয়েছে।

শিল্পের কাঁচামাল আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন এসআরও নং ১১৯/২০২২এর সংশোধন:

সকল স্তরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতির অবসানের উদ্দেশ্যে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের টেবিল-১ এ ০% হারের পরিবর্তে ১% হারে আমদানি শুল্ক (ঈউ)নির্ধারণ করার সুপারিশ করছি। এছাড়া কতিপয় পণ্য যা প্রকৃতপক্ষে শিল্পের কাঁচামাল নয় তথাপি বর্ণিত প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে এমন কিছু পণ্যকে এ প্রজ্ঞাপন হতে বিলুপ্ত করা হয়েছে।

ডপ্র-ফেব্রিকেটেড বিল্ডিং স্ট্রাকচার আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন এসআরও নং ১৬১/২০১৬ এর সংশোধন:

বর্ণিত প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত উপকরণের আমদানিতে মাত্র ৩% আমদানি শুল্ক নির্ধারিত আছে যা যৌক্তিকীকরণ করে ৫% নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং রেন্টাল পাওয়ার কোম্পানি কর্তৃক প্লান্ট, ইকুইপমেন্ট ও ইরেকশন ম্যাটেরিয়াল আমদানি সংক্রান্ত এসআরও এর সংশোধন:

বিভিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং রেন্টাল পাওয়ার কোম্পানি কর্তৃক প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত প্লান্ট,ইকুইপমেন্ট ও ইরেকশন ম্যাটেরিয়াল আমদানিতে ০% আমদানি র্শুক ধার্য আছে যা বৃদ্ধি করে ৫% ধার্য এবং সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপনসমূহ জুন ২০২৮ পর্যন্ত বলবৎ রাখা হয়েছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রেয়াতি /অব্যাহতি সুবিধায় আমদানি সংক্রান্ত এসআরও এর সংশোধন:

ব্যক্তি, প্রাতিষ্ঠানিক ও সরকারি পর্যায়ে শুল্ক অব্যাহতি ভোগ করার সংস্কৃতি হতে বের হয়ে আসার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূলধনী যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ সামগ্রী আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত এসআরওতে দুই ধরণের পণ্যসামগ্রীর আমদানিতে ০% আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে যা ১% নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলের ডেভেলপার কর্তৃক উন্নয়ন কার্যে ব্যবহৃত পণ্য আমদানিতে ০% আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে যা ১% নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যাবাহন আমদানিতে সকল ধরণের শুল্ক-কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আমদানি শুল্ক অব্যাহতি প্রদান করে আমদানি পর্যায়ের অন্যান্য সকল শুল্ক করাদি আরোপ করা হয়েছে।

হাইটেক পার্কে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক রেয়াতি /অব্যাহতি সুবিধায় আমদানি সংক্রান্ত এসআরও এর সংশোধন:

হাইটেক পার্কে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মূলধনী যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ সামগ্রী আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা প্রদান সংক্রান্ত এসআরওতে দুই ধরণের পণ্য সামগ্রীর আমদানিতে ০% আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে যা ১% নির্ধারণ করা হয়েছে। হাইটেক পার্কের ডেভেলপার কর্তৃক উন্নয়ন কার্যে ভ্যবহৃত পণ্য আমদানিতে ০% আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে যা ৫% নির্ধারণ করা হয়েছে। হাই টেক পার্কে অবস্থিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যানবাহন আমদানিতে সকল ধরনের শুল্ক কর অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আমদানি শুল্ক অব্যাহতি প্রদান করে আমদানি পর্যায়ের অন্যান্য সকল শুল্ক করাদি আরোপ করা হয়েছে।

সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক গাড়ী আমদানিতে সকল শুল্ক কর অব্যাহতি সংক্রান্ত বিষয়টি পরিবর্তন:

সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক গাড়ী আমদানিতে সকল প্রকার শুল্ক কর অব্যাহতি বিদ্যমান রয়েছে। সকল স্তরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতি হতে বের হয়ে আসার জন্য সবাইকে রাজস্ব প্রদানে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। জন প্রতিনিধি হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষ্যে সংসদ সদস্যগনের সকল প্রকার শুল্ক কর পরিশোধ ব্যতিরেকে গাড়ী আমদানির প্রাধিকার কিছুটা পরিবর্তন করা একটি মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। এই উদ্দেশ্যে সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক গাড়ী আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কর অব্যাহতির সুবিধা সংক্রান্ত বিধানটি পরিবর্তন করা যেতে পারে।এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এ সংক্রান্ত বিধান দ্য মেম্বারস অব পার্লামেন্ট রেমুনারেশন এন্ড এলায়ুন্সেস) অর্ডার,১৯৭৩ এ প্রয়োজনীয় সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

শিল্পের কাঁচামাল/উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত কতিপয় এসআরও এর মেয়াদ নির্ধারণ:

কাস্টমস এর অনেক প্রজ্ঞাপনে এস.আর.ও এর কার্যকারিতার মেয়াদ উল্লেখ না থাকায় ব্যবসায়ী মহলে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা যায়। তাই, মেয়াদ নির্দিষ্টকরণের অংশ হিসাবে বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন গুলো বাতিল করে কার্যকারিতার মেয়াদ উল্লেখ করে সেগুলো সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।

বিদ্যমান যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালা সংশোধনপূর্বক নতুন বিধিমালা জারি:

মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ হতে কাস্টমস শুল্ক ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে স্বর্ণালংকারের মধ্যে অলংকার সাদৃশ্য গোল্ডঃ(২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ) আনার প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ(আমদানি) বিধিমালা, ২০২৩ এর বিধি ২ এ স্বর্ণালংকার এর সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে।

বিধি ৩ এর উপবিধি (৪) এ উল্লিখিত বিধানে যাত্রীর সাথে আনীত হয়নি এরুপ ব্যাগেজ সকল প্রকার শুল্ক কর পরিশোধ ব্যতিরেকে খালাসের পরিবর্তে বানিজ্য সমতার সার্থে শুল্ক কর পরিশোধ সাপেক্ষে খালাস করার বিধান প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

বিধি ৩ এর উপবিধি (৫) এ উল্লিখিত বিধানে দুইটি মোবাইল ফোন সকল প্রকার শুল্ক কর পরিশোধ ব্যতিরেকে খালাসের বিধান এবং শুল্ক কর পরিশোধ সাপেক্ষে ০১(এক) টি নতুন মোবাইল ফোন আমদানি করার বিধান প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

কাস্টমস আইন,২০২৩এর সংশোধন:

৬ জুন ২০২৪ হতে কাস্টমস আইন,২০২৩ কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ইতোমধ্যে আইনটির প্রায়োগিক এবং এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য সকল বিষয় পর্যালোচনা করা হয়েছে। এতে দেখা যায় যে,আইনটির কার্যকর প্রয়োগের মাধ্যমে কাঙ্খিত সুফল নিশ্চিত করতে হলে উক্ত আইনের কতিপয় ধারার একান্ত প্রয়োজনীয় কিছু সংশোধন ও কতিপয় নতুন বিধান সংযোজন করা প্রয়োজন। এছাড়াও নতুন বাংলা আইনে নতুন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করায় তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি বিধিমালা জারি করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায় নতুন কাস্টমস আইন,২০২৩ এ যে সকল সংশোধন ও সংযোজন করা প্রয়োজন।

কাস্টমস আইনের কতিপয় ধারা সংশোধন ও কতিপয় নতুন বিধান সংযোজন:

ক)কাস্টমস কর্মকর্তা নিয়োগ বা ক্ষমতা অর্পণের ক্ষেত্রে আইনী জটিলতা পরিহারের লক্ষ্যে সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন জারির বিধান বিলুপ্ত করা সংক্রান্ত ধারা ৪ এবং ৬ এর সংশোধন,

খ) বকেয়ার হিসাব সহজ করার লক্ষ্যে সুদ আদায় সংক্রান্ত ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (৪) এর সংশোধন,

গ)গ্যারান্টির ধরণ এবং গ্যারান্টি প্রদানের বাধ্যবাধকতা নির্ধারণ সংশ্লিষ্ট ধারা ৪১ এর উপ-ধারা (২) এবং ধারা ৪৪ এর উপ-ধারা (২) এর সংশোধন,

ঘ)পণ্য ঘোষণার সংশোধন এর ক্ষেত্রে বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে কাস্টমস আইন,২০২৩ এর ধারা ৮৬ তে প্রয়োজনীয় সংশোধন,

ঙ) অখালাসকৃত পণ্য নিলাম সংশ্লিষ্ট ধারা সহজীকরণের উদ্দেশ্যে ধারা ৯৪ এর উপ-ধারা (২) এর সংশোধন,

চ) বিধিতে দন্ড আরোপের বিধান রেখে ধারা ১৭১ এর সংশোধন,

ছ) চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের ন্যায়নির্ণয়ন ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট আইনের ধারা ২০২ স্পষ্টীকরণ,

জ) আপিল দায়ের সংক্রান্ত বিধান সংশোধন,

ঝ) দেওয়ানি আদালতের এখতিয়ার সংক্রান্ত বিধান সংযোজন,

ঞ)আদালতের নির্দেশনার ক্ষেত্রে দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপনের বিধান রেখে ধারা ২৬১ এর সংশোধন,

ট) বিশেষায়িত কার্যকর ইউনিট গঠনের বিধান রেখে ধারা ২৬৪ এর পর নতুন ধারা ২৬৪ ক সংযোজন,

ঠ) এ আইনের অধীন যে কোনো কার্যক্রম ইলেকট্রনিক মাধ্যমে সম্পাদন করার আইনী বিধান সংযোজনের লক্ষ্যে ধারা ২৬৫ এর উপ-ধারা (১) এর সংশোধন।

২) কাস্টমস আইন,২০২৩ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আবশ্যক কতিপয় বিধিমালা প্রণয়ন

কাস্টমস আইন ২০২৩,এর বিধানসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিধি বর্তমানে কার্যকর আছে। এ বিষয়ে নতুন যে সকল বিধিমালা আবশ্যক তা হচ্ছে:

ক)ইলেকট্রনিক রেকর্ড এবং ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট বিধিমালা,২০২৪:

খ)কাস্টমস গ্যারান্টি বিধিমালা, ২০২৪:

গ) পণ্য ঘোষণা,শুল্কায়ন ও পুনঃশুল্কায়ন বিধিমালা,২০২৪:

ঘ) এক্সপ্রেস পদ্ধতির আওতাভুক্ত পণ্যচালান দ্রুত খালাসকরণ বিধিমালা ২০২৪:

ঙ) আন্তর্জাজাতিক দরপত্রের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময়ে জাহাজ নির্মাণের ক্ষেত্রে পণ্য তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে প্রযোজ্য শুল্ক কর অব্যাহতি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন:

চ) বন্ডেড ওয়্যারহাউস ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বিদ্যমান বিধি-বিধান হালনাগাদপূর্বক নতুন বিধিমালা জারী সংক্রান্ত প্রস্তাব:

কাস্টমস আইনের প্রথম তফসিলে সংশোধন:

আন্তর্জাতিক বানিজ্য সহজীকরণের উদ্দেশ্যে পণ্যের নামকরণ এবং শ্রেণিবিন্যাসজনিত জটিলতা দূও করার লক্ষ্যে কাস্টমস আইন,২০২৩ এর প্রথম তফসিলে বিদ্যমান এইচ এস কোড ও বর্ণনা এবং আমদানি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক,মূল্য সংযোজন কর ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট এসআরও, আদেশ পরিপত্রে যেসব করণিক ত্রুটি,অসংগতি ও বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়েছে-তা যথাযথভাবে পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করে সংশোধন, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রথক এইচ এস কোড সৃজন ও যৌক্তিকীকরণে করা হয়েছে।

প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়ন করা হলে তা অর্থনীতির পুনর্গঠনে সহায়ক হবে,অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল হবে, শিল্পের বিকাশ সাধিত হবে,উদ্যোক্তা তৈরি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে তৈরি হবে এবং বিনিয়োগ ও ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত হবে বলে আশা করা যায়।বাংলাদেশ কাস্টমস কে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক ইতোমধ্যে কন্টেইনার স্ক্যানার ক্রয়, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সফটওয়ার এর আপগ্রেডেশনসহ সক্রিয় সকল ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সফটওয়্যার স্থাপন করা হয়েছে। একই সাথে,যে কোনো পরিমান কাস্টমস ডিউটি অনলাইনে প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পণ্য চালানের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় কাস্টমস রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিশনারেট চালু করা হয়েছে। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্প, বন্ড ব্যবস্থাপনা,অথরাইজড ইকোনোমিকঅপারেটর প্রভৃতি কার্যক্রম চালুকরণ ও অটোমেশনসহ বেশ কিছু কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে দ্রুততর সময়ে আমদানি-রপ্তানি পণ্যেও খালাস নিশ্চিত হবে, দেশের অর্থনীতির চাকা অধিকতর গতিশীল হবে এবং উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথ সুগম হবে। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় ও নির্দেশনা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জন ত্বরান্বিত হবে।

লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট, কবি।

আমার বার্তা/কমল চৌধুরী/এমই

ডেঙ্গুর ভয়াবহ বিস্তার রোধে চাই কার্যকর পদক্ষেপ

ডেঙ্গুু প্রতি বছরই দুশ্চিন্তার কারণ হলেও এবছর একটু বেশিই ভয়ংকর রুপে দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গুতে আক্রান্

বিশ্বের নজর এখন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে সারা বিশ্ব। জল্পনা-কল্পনা চলছে কে হচ্ছেন পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য নিরসন

১৯৭২ সালের সংবিধানের ১৫(ঘ)এ সমাজের অসহায় মানুষের জন্য সরকারি সাহায্য লাভের অধিকার অন্তর্ভুক্ত করে সামাজিক

প্রবীণরা বোঝা নয়, সমাজের বটবৃক্ষ

১ অক্টোবর দুনিয়াজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। মানুষের জীবনে বার্ধক্য এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ। সামাজিক,
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেশে ক্ষমতার রূপান্তর হয়েছে, কিন্তু নতুনের পুরোপুরি জন্ম হয়নি

সংস্কার কমিশনে নাখোশ বিএনপিসহ কয়েক দল

ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক

জাহাজে আগুনের পর সমুদ্রে লাফ, এক নাবিকের মৃত্যু

চট্টগ্রাম বন্দরে ফের তেলবাহী জাহাজে আগুন, নিহত ১

চাটখিল থানায় ভাঙচুর-লুটপাট, আ. লীগ নেতা কারাগারে

বৃষ্টি থাকতে পারে আরও ৭ দিন

প্রাণ-আরএফএল এর বিরুদ্ধে ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন

লেবাননে গত ৪ দিনে ২৫০ হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত

ভারতে সচিবালয়ের তিনতলা থেকে ঝাঁপ দিলেন স্পিকার, এমপি ও বিধায়ক

সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই

বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ

৫ অক্টোবর ঘটে যাওয়া নানান ঘটনা

পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় গজারিয়ায় মতবিনিময় সভা

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা শ্রমিকদের সহায়তা দেওয়া হবে

মালয়েশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চাই: ড. ইউনূস

লেবানন থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সরিয়ে ফেলা হচ্ছে : দূতাবাস

ইজ্জতের চূড়ান্ত সীমায় শহীদদের রাখতে চাই: জামায়াত আমির

লুটপাটের টাকায় শেখ হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করছেন: এ্যানি

ঝরনার কূপে মিলল ২ পর্যটকের মরদেহ