জাতীয় বধির সংস্থা, বাংলাদেশ বধির ক্রীড়া ফেডারেশন ও ঢাকা মূক-বধির সংঘে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের অবৈধ দখল, দুর্নীতি, লুটপাট ও সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী বধির জনগোষ্ঠী। একই সঙ্গে এই অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ঢাকা মূক-বধির সংঘের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন।
গোষ্ঠীর অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে—
১. শেখ আব্দুর রাজ্জাক, শেখ নাহিদ, শেখ মামুন ও কামরুল হাসান, জাকির হোসেন, জাকির হোসেন খান, শামছুল আরিফিন, গাজী কামরুল হাসানসহ সব আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. সংস্থার লুটপাট হওয়া চিকিৎসা কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি, মূল্যবান হিয়ারিং এইড ও পাওনা টাকা উদ্ধার করে বধির চিকিৎসা কেন্দ্রটি পুনরায় চালু করতে হবে।
৩. দুর্নীতিবাজ লুটপাটকারী বিতর্কিতদের অবৈধভাবে করা সদস্য পদ বাতিল করে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
৪. প্রতিবন্ধী মানুষের ওপর নির্মম হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আওয়ামী সন্ত্রাসী শেখ আব্দুর রাজ্জাক, শেখ নাহিদ আহম্মেদ, শেখ মামুন আল রশিদ, তাদের ভগ্নীপতি কামরুল হাসান সোহেল, গাজী কামরুল হাসান, জাকির হোসেন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের তথাকথিত সভাপতি জাকির খান, শামছুল আরিফিন, রিয়াদ খান, মাদারীপুর আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহাদাৎ আলম হারু, হেলাল উদ্দিন, আবদুল্লাহ আল ইউসুফ, মাজহারুল হক, নাসিরুল হক পেয়ারুসহ তাদের নেতৃত্বাধীন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় বধির সংস্থা, বাংলাদেশ বধির ক্রীড়া ফেডারেশন ও ঢাকা মূক-বধির সংঘে দুর্নীতি, লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে এবং অতীতে আওয়ামী সন্ত্রাসী হিসেবে সক্রিয় থাকার পর বর্তমানে বিএনপির কিছু নেতার ছত্রছায়ায় আরও দখলবাজি, লুটপাট ও হামলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা মূক-বধির সংঘের সহ-সভাপতি গাজী খায়রুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম টিপু, কার্য নির্বাহী সদস্য শাহানা আক্তার প্রমুখ।
আমার বার্তা/জেএইচ
