নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, যদি ক্ষমতায় থাকতে চাইতাম, তাহলে বহু আগেই থাকতে পারতাম। আমার ওই ধরনের কোনো ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা নেই। যতটুকু সময় পেয়েছি, একদম সিনসিয়ারলি সাধারণ মানুষের জন্য, শ্রমিকদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, একই সঙ্গে মালিকরা যাতে শ্রমিকদের দেনা-পাওনা দিতে পারে, সেজন্য যতটুকু করার এর আগে কোনো শ্রমমন্ত্রী করেনি।
সম্প্রতি খালেদ মহিউদ্দিনের এক টক শোতে উপদেষ্টাদের মধ্যে কেউ কেউ ক্ষমতায় থাকতে চান— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কবে হবে— এমন প্রশ্নে এই উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ওনার বক্তব্যে যে কথা বলেছেন, তার বাইরে আমার যাওয়ার কোনো উপায় নেই। উনি বলেছেন—ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে। প্রথমে উনি বলছেন—এপ্রিলে। পরে বলেছেন—ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে। অনেক বিবেচনা করে বলেছেন। পলিটিক্যাল পার্টিগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হয়তো হয়েছে। আমি সেখানে থাকতে চাই। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এটা চলে গিয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কম্পানি বা যেই আসুক, সে কিন্তু বন্দর পরিচালনা করছে না। বন্দর পরিচালনা করবে চিটাগং পোর্ট অথরিটি, এখন যা আছে তাই। তারা শুধু অপারেট করবে। পাঁচটি টার্মিনাল অপারেট করবে কিছু বছরের জন্য।
তিনি আরো বলেন, দুবাই পোর্টের সঙ্গে বিগত সরকারের একটা আন্ডারস্ট্যান্ডিং হয়েছিল। সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের জায়গায় মাঝখানে একটা গন্ডগোল তারা করে ফেলেছে। যেটা দুবাই পোর্টকে দেওয়ার কথা ছিল, সেটা তারা সৌদি অ্যারাবিয়াকে দিয়েছে। দুবাই পোর্ট যখন প্রটেস্ট করল, তখন দুবাইকে আশ্বাস দেওয়া হলো— যখন এনসিটির বর্তমান যে অপারেটর আছে, সে চলে গেলে তোমাদের এনসিটিতে দেওয়া হবে। পরে যখন দুবাই পোর্ট আমাদের কাছে এলো, তখন বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তখন তারা লিস্ট দিল। তাতে ৮৫টি দেশে ৮৫টি আন্তর্জাতিক পোর্ট তারা অপারেট করছে। ৮৫ পোর্টের সঙ্গে দুবাই পোর্টের একটা বড় কানেকশন হয়ে গেছে। সেটা জাহাজ চলাচলে, সেটা লজিস্টিক্সে, সেটা ইমপ্রুভমেন্টে।
আমার বার্তা/জেএইচ