জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভার প্রতীকী বয়কট নিয়ে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা একটি দল একদিন প্রতীকীভাবে বয়কট করেছে। পরদিনই আবার ফিরে এসেছে। সভায় সেই দলকে কথা বেশি বলতে দেওয়ার অভিযোগ করে অন্য দুটি দল প্রতীকী ওয়াকআউট করেছে। অনেকেই এসবের মধ্যে রাজনীতিতে অনৈক্যের ছায়া দেখছেন। আমি এটাকে দেখছি খুবই ইতিবাচকভাবে।
বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
আজাদ মজুমদার বলেন, এই মুহূর্তে দেশে কোনো সংসদ নেই। গত দেড় যুগ সংসদ থাকলেও সেখানে কাজের চেয়ে অকাজই বেশি হয়েছে। নেতা-নেত্রীদের স্তুতি আর প্রতিপক্ষের গোষ্ঠী উদ্ধারেই বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থেকেছেন সাংসদরা। আইন প্রণয়ন নিয়ে খুব কম সময় তারা ব্যয় করেছেন।
তিনি বলেন, গতকাল কিছুক্ষণ ঐকমত্য কমিশনের সভায় ছিলাম। প্রাণবন্ত বিতর্কে অংশ নিয়েছেন রাজনীতিবিদরা। মনে হচ্ছিল এই মুহূর্তে এটাই আমাদের বিকল্প সংসদ। রাজনৈতিক নেতারা যেসব বিষয়ে আলোচনা করেছেন এগুলোই হয়ত আগামী দিনে আইনে পরিণত হবে। এই রাজনীতিবিদদেরই কেউ কেউ হয়ত নির্বাচিত হয়ে আসবেন আইন প্রণেতা হিসেবে। এখন যেমন তারা আগামী দিনের রাষ্ট্র কাঠামো নিয়ে কথা বলছেন, সংসদেও হয়ত একইভাবে বিতর্কে অংশ নেবেন। কোনো কিছু মনমতো না হলে প্রতীকী প্রতিবাদ করবেন, ওয়াক আউট করবেন।
উপ-প্রেস সচিব বলেন, দেশের রাজনীতি থেকে এ সংস্কৃতিটা হারিয়ে গিয়েছিল। ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এই অনুশীলন ফিরে এসেছে। আশা রাখি নির্বাচিত সংসদও হবে একইভাবে প্রাণবন্ত।
আমার বার্তা/জেএইচ