চৈত্র সংক্রান্তিতে উৎসব উদযাপনের জন্য পার্বত্য অঞ্চলে ছুটি ঘোষণা করায় বর্তমান সরকারকে পার্বত্যবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বিসিএস ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ে নববর্ষ উৎসব সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলেন অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা এ অনুভূতি জানান।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, বিজু উৎসব চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব। পার্বত্য এলাকা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি বান্দরবান সর্বত্র বিজু মেলা চলছে। গিলা খেলা, বলি খেলা ও বিভিন্ন ধরনের আনন্দদায়ক খেলা চলছে সেখানে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিজু উপলক্ষে বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা দেওয়ার কথা জানান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমরা তিন জেলায় ৬০০ মেট্রিক টন চাল খাদ্যশষ্য, ৪৫০ মে.টন গম খাদ্য ইতোমধ্যে দিয়েছি।
উপদেষ্টা বিজু উৎসব সম্পর্কে বলেন, বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নববর্ষের দিন এই উৎসব পালন করা হয়। এইদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই ছেলেমেয়েরা বেরিয়ে পড়ে ফুল সংগ্রহের জন্য। সংগ্রহিত ফুলের একভাগ দিয়ে বুদ্ধকে পূজা করা হয় আর অন্যভাগ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। বাকি ফুলগুলো দিয়ে ঘরবাড়ি সাজানো হয়।
চৈত্র মাসের শেষ দিন অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল পালন করা হয় মূল বিজু। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পাহাড়ে বসবাসকারী জনপদগুলো এই দিনে মেতে ওঠে ভিন্ন এক আনন্দে। নিজস্ব সংস্কৃতির অনুষ্ঠান ফুল বিজু সকলের মনকে আনন্দে রাঙ্গিয়ে দিবে এবারের এ আসর।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি আমরা সবাই ভাই ভাই হিসেবে কাজ করতে চাই। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আমাদের এক করে দিয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ঢাকা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে এ অনুষ্ঠান পরিচালনা করছে।
সংবাদ সম্মেলেনে এ সময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সহকারী প্রেস সেক্রেটারি সুচিস্মিতা তিথি উপস্থিত ছিলেন।
আমার বার্তা/এমই