বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অভ্যুত্থান এবং সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দেশের বিভিন্ন টেলিভিশনের মালিক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়াতেও এমন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এ অপপ্রচার শুধু সরকারের বিরুদ্ধে নয়, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশকে নিয়ে যে অপপ্রচার হচ্ছে তার কাউন্টার দেয়ার জন্য এবং প্রকৃত সত্য তুলে ধরার জন্য আমাদের সরকারসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি, সবার মতামত নিয়েছি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, জুলাই বিপ্লবে অনেক সাংবাদিক ছাত্র-জনতার পক্ষে কাজ করেছেন। তাদের নিরাপত্তা এবং তাদের যেন হেনস্থা করা না হয়, আমরা সে বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকপক্ষ তাদের দাবি ও সমস্যাগুলো জানিয়েছে। যেমন- বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রাইস রেগুলেশনের বিষয়ে তারা বলেছেন। পে-চ্যানেলের কথা বলেছেন, বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিষয়ে নীতিমালার কথা বলেছেন। এছাড়াও তারা টিআরপির বিষয়টিও বলেছেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আবার তাদের সঙ্গে বসবো। যৌক্তিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করবো।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বিগত রেজিমে সাংবাদিকদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সবার প্রত্যাশা সামনের দিনগুলোতে যেন এ ধরনের পরিস্থিতি আর না হয়। আমরা সবাই মিলে যেন একটি মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে পারি।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে সাইবার সিকিউরিটি আইনের মতো অন্য আইনও পর্যালচনা করা হবে। বকেয়া বেতন ভাতা যথা সময়ে মিটিয়ে দিতে মালিকদের আহ্বান জানানো হয়েছে। সচিবালয়ে যাদের কার্ড বাতিল হয়েছে তাদের বিষয়ে কোনো ভুল হলে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।
মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আমার বার্তা/এমই